সাভারে পোশাক শ্রমিককে দলবেঁধে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:৫৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার

সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় কাজ করা এক নারী শ্রমিককে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই তরুণীর প্রেমিকের সহায়তায় ডেকে নিয়ে তাকে গণধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে ভুক্তভোগী ওই তরুণীর প্রেমিক সামিউল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তরুণীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগী ওই তরুণী বাদী হয়ে সামিউল ইসলামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার রানা সরকার এবং একই এলাকার আরিফ হোসেন। পলাতক সামিউল ইসলাম মৃধা ওরফে সোহান আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার মঞ্জুরুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া। তার বাড়ি নাটোর জেলার লালপুরে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার একটি কারখানায় কাজ করে ওই নারী। এ সময় সামিউলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই তরুণী নরসিংহপুর এলাকায় তার বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। রাত আটটার দিকে বাসায় ফেরার পথে প্রেমিক সামিউল তাকে নরসিংহপুর এলাকায় তার ভাড়া বাসায় ডেকে নেয়। এরপর নিজের কক্ষে ওই তরুণীকে আটকে রাখে। ওই কক্ষে আগে থেকেই সামিউলের বন্ধু আরিফ ও রানা অবস্থান করছিল।

পরে প্রেমিক সামিউল, তার বন্ধু আরিফ ও রানা ওই তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই নারী চিৎকারের চেষ্টা করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বখাটেরা। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই নারীকে কক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স) ফজলুল হক জানান, ওই নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগে সোমবার রাতে নরসিংহপুর এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় পলাতক সামিউলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে ভুক্তভোগী নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/আইআই/এমআর