বগুড়ায় বন্ধুকে দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ: বিচার চেয়ে মানববন্ধন
বগুড়ায় স্বামী ও তার বন্ধু কর্তৃক স্ত্রীকে ধর্ষণ, মাথার চুল কেটে দেয়া ও পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বগুড়া জেলা শাখা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শহরের সাতমাথায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার চকলোকমান এলাকায় এক ব্যক্তি তার বন্ধুকে দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান। পরে গৃহবধূকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ইউনিটে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করলে পুলিশ স্বামীকে গ্রেপ্তার করে।
তারা বলেন, আরেক ধর্ষক এখনও পলাতক। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। থানায় মামলা করার কারণে ওই ধর্ষকের লোকজন নির্যাতিতা গৃহবধূসহ তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবারটি। যার কারণে আজকের এই মানববন্ধন। আজকের এই প্রতিবাদ সমাবেশ।
মানববন্ধনে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সুজন বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ান ইসলাম তুহিন বলেন, ভিকটিম ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। উল্টো আসামিদের পক্ষ থেকে ভিকটিম পরিবারকে মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। ভিকটিম পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, পুলিশ নাকি বলছে এটা তাদের সাজানো নাটক। ছেলেকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ব্যাপারটি খুব ন্যাক্কারজনক।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নির্যাতনকারীদের পক্ষ নেয়ার বিষয়টি মিথ্যা দাবি করেন তিনি বলেন, মামলা হওয়ার পরপরই মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যজনকেও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। আর এই মূল ঘটনাটা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। ভিকটিমের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এ রকম কোনো অভিযোগ কেউ থানায় করেনি।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বগুড়া শাজাহানপুরের চকলোকমান এলাকায় স্বামীর বিরুদ্ধে তার দুই বন্ধুকে দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণের পর এসিডে শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে দেয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই গৃহবধূর বিরুদ্ধে তার স্বামীর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। পরে গৃহবধূকে মামলা উঠিয়ে নিতে চাপ দেয় আসামিপক্ষ।
(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/কেএম/ইএস)