বৃষ্টিতে বইমেলায় ছন্দপতন

আসাদুজ্জামান, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:৩৭

একদিন আগেই বাংলা একাডেমির তথ্যকেন্দ্র থেকে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস প্রচার হচ্ছিল। সেই পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, মঙ্গলবার মেলা চলাকালে বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সেই পূর্বাভাসই সত্যি হলো। মঙ্গলবার বইমেলা চলাকালে ঝিরঝির বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির ধারা কখনো বেশি ছিল, কখনো কম। সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দফায় দফায় দমকা হাওয়া বয়ে যায়। হালকা বৃষ্টির ফলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলার বেশ কিছু অংশে এবং বাংলা একাডেমির অল্প কিছু অংশে বৃষ্টির পানি জমে কাঁদা হয়।

এদিকে আজ রাজধানীর কোথাও দিনে সূর্যের দেখা মেলেনি। হালকা বৃষ্টিও ছিল। ফলে প্রতিদিনের চেয়ে বইমেলায় বইপ্রেমী দর্শনার্থীদের সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। তবে আজ মেলায় ধুলার আধিক্য কম থাকায় স্টল মালিক ও দর্শনার্থীদের অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

ভাষা প্রকাশের স্বত্বাধিকারী দিলদার হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, প্রতি বছর দেখি বইমেলা চলাকালে বৃষ্টি হয়। স্টল মালিক ও প্রকাশকরা এক প্রকারে এটা মেনেই নিয়েছে। আজ হালকা যেটুকু বৃষ্টি হয়েছে তাতে ধুলা অনেকাংশে কমেছে। আগামী কয়েকদিন স্বস্তিতে থাকা যাবে।

'মানসে'র কার্যনির্বাহী সদস্য ইমরান খান জানালেন, বইমেলার রীতি অনুযায়ী শেষ ভাগে বিক্রি বাড়ে। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। তবে তারা আশাবাদী আগামীকাল থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

বইমেলা শেষভাগে এসে পৌঁছেছে, এজন্য অনেকে হালকা বৃষ্টি উপেক্ষা করে মেলায় এসে প্রিয় লেখকদের বই কিনছেন। এদেরই একজন বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা রহমত উল্লাহ। তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ব্যস্ততার কারণে এতদিন মেলায় আসা হয়নি। মেলাও শেষ হতে চলল। তাই হালকা বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মেলায় এসেছি। প্রয়োজনীয় বইগুলো আজই সংগ্রহ করব।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বইমেলার বাংলা একাডেমি অংশে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইশতিয়াকের সঙ্গে। তিনি বলেন, আজ আবহাওয়া কিছুটা খারাপ তাই মেলায় লোকসমাগম কিছুটা কম। বৃষ্টির কারণে অনেক স্টলে বই প্রদর্শন ও বিক্রি করতে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে।

স্টলের টেবিলে বই সাজিয়ে সেগুলো সুরক্ষিত রাখতে বইয়ের উপর পলিথিন বিছিয়ে রাখতে দেখা গেছে। কোনো কোনে স্টল মালিক তাদের স্টলের সামনে পলিথিন কিংবা ত্রিপল টাঙ্গিয়ে বইপত্র বৃষ্টির ছাট থেকে সুরক্ষিত রেখেছেন।

মেলায় অংশ নেয়া নন্দিনী সাহিত্য ও পাঠচক্রের কর্মী মনিরুজ্জামান বলেন, আজ মেলায় লোকজন কম। তাই বিক্রিও কম। সাধারণত মেলায় শেষের দিকে বিক্রিবাট্টা বেশি হয়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে মনে শঙ্কা জেগেছে। কেননা, শুনেছি আগামীকাল বুধবারও আবহাওয়া এমনই থাকবে।

(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/এজেড/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :