কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ৩২০০ কোটি টাকার প্রকল্প
কৃষি যান্ত্রিকীকরণে তিন হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এ প্রকল্প শিগগিরই পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেকে এ প্রকল্প পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশে কাজুবাদাম চাষ ও রপ্তানির বিষয়ে এক বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এসব তথ্য জানান। শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনামন্ত্রীর দপ্তরে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত ছিলেন। এসময় ‘গ্রিনগ্রেইন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাকিল আহমেদ তানভির বাংলাদেশে কাজুবাদাম চাষে সম্ভাবনার ও চ্যালেঞ্জের বিষয় তুলে ধরেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের জন্য কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ করতে হবে। আধুনিক কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও কৃষির বহুমুখিকরণের মাধ্যমেই কৃষির উন্নয়ন সম্ভব।
মন্ত্রী বলেন, আমরা দানাদার ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা চাহিদার চেয়ে আলু বেশি উৎপাদন করছি। এখন আমাদের উৎপাদিত উদ্বৃত্ত ফসল রপ্তানির জন্য কাজ করছি।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, সরকার গুরুত্ব দিয়েছে অপ্রচলিত ফসলের দিকে। আমি মন্ত্রী হওয়ার পর ছয় হাজার কাজুবাদাম চারা এনেছি। এ চারা কৃষককে দেয়া হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম কাজুবাদাম চাষের জন্য উপোযোগী জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভিয়েতনামে ১৯৯০ সালের পর কাজুবাদাম চাষে মনোযোগ দিয়েছে। এখন তারা চার বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করছে কাজুবাদাম থেকে। আমাদেরও রপ্তানি আয়ের আরেকটি উৎস হতে পারে কাজুবাদাম।
(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/জেআর/জেবি)