কক্সবাজারে ইয়াবাসহ ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:২৫

কক্সবাজারে এক লাখ পিস ইয়াবাসহ জেলা ছাত্রলীগের এক নেতাসহ তিনজনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার তাদের আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া।

আটককৃতরা হলেন জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ফয়সাল আবদুল্লাহ, খুরুশকুলল ইউনিয়নের কুলিয়াপাড়ার মো. ফিরোজ ও মোস্তাক আহমেদ লালু। এই ঘটনায় আটক তিনজনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া বাদী হয়ে মঙ্গলবার কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, কক্সাবাজার শহরের উত্তর রুমালিয়ারছড়া এলাকার বিলাই হোসেন, শহরের মাঝিরঘাট এলাকার ইফতেখার খান বাবু, টেকপাড়ার নাসির, মাঝিরঘাটের মুজিব, টেকপাড়া হাঙ্গরপাড়ার বুলু মিস্ত্রি, তানভীর, পশ্চিম টেকপাড়ার কায়সার এবং মিজান ৩২।

পরিদর্শক মানস বড়ুয়া বলেন, বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারি গত ২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার শহরে প্রবেশ করে ইয়াবার একটি বড় চালান। এই তথ্যের ভিত্তিতে ওই চালান এবং জড়িতদের ধরতে তৎপরতা শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ। এই জন্য বেশ কয়েক দিন নানাভাবে অনুসন্ধান চালানো হয়। সোর্স লাগিয়ে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সর্বশেষ ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত ১০টায় ওই ইয়াবা চালানের একটি খুরুশ্কুলের কুলিয়াপাড়ার মো. মোস্তাক আহম্মেদ লালুর বাড়িতে ভাগবাটোয়ারার খবর পায় গোয়েন্দা পুলিশ। এই সংবাদ পেয়ে দ্রুত সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে খুরুশকুল ইউনিয়নের কুলিয়াপাড়ার মৃত ফজল মিয়ার পুত্র মো. ফিরোজ (৩২) ও একই এলাকার মৃত সোলতানের পুত্র মো. মোস্তাক আহমেদ লালু (৩৬) আটক করতে সক্ষম ডিবি পুলিশ। মোস্তাক আহমেদ লালুর খাটের নিচ থেকে এক লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

পরিদর্শক মানস বড়ুয়া আরও জানান, আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে মো. ফিরোজ ও মো. মোস্তাক আহমেদ লালু স্বীকার করেন এই ইয়াবা চালানের সাথে ছাত্রলীগ নেতা মো. ফয়সালসহ আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছেন। তাদের স্বীকারোক্তি মতে পরে অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা মো. ফয়সালকে কক্সবাজার শহর থেকে থেকে আটক করা হয়।

আটক ফিরোজের বরাত দিয়ে মানস বড়ুয়া বলেন, মো. ফয়সালের সহযোগিতায় টেকপাড়ার মো. মিজান এই বিশাল ইয়াবা চালান বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। ফিরোজ আরও জানান, মিয়ানমার থেকে আনা এই ইয়াবা চালানের আরেকটি বড় অংশ মো. মিজান এবং আরেকটি বড় অংশ মো. শহিদ ও মো. বোরহানের কাছে রয়েছে।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান কবির বলেন, এক লাখ পিস ইয়াবাসহ তিনজনকে আটকের ঘটনায় দায়েরকৃত এজাহার মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/টিএ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :