বসন্তেই বাজারে গ্রীষ্মের তরমুজ

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
 | প্রকাশিত : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:১৬

ঋতুরাজ বসন্তেই রাজশাহীর বাজারে এসেছে গ্রীষ্মের ফল তরমুজ। অনেকেই তা দেখছেন। তবে বিক্রেতারা বলছেন, বিক্রি তেমন একটা নেই। তারা জানিয়েছেন, আগাম জাতের এসব তরমুজ জমিতে লাগানোর পরই চুক্তিভিত্তিতে চাষিদের কাছ থেকে কিনেছিলেন তারা। গাছে আগাম যা ধরেছিল, তা পরিপক্ক হওয়ায় তুলে বাজারে এনেছেন। কিন্তু তাপমাত্রা এখনও কম থাকায় বাজারে এখন তরমুজের চাহিদা নেই।

বুধবার সকালে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার, লক্ষ্মীপুর মোড়, বিনোদপুর, হড়গ্রাম ও রেলগেট এলাকা ঘুরে আগাম জাতের তরমুজ বিক্রি করতে দেখা যায়। সব বিক্রেতা নগরীর শালবাগানের পাইকারি আড়ত থেকে এসব তরমুজ কিনেছেন বলে জানালেন। খুচরায় প্রতি কেজি তরমুজের দর ৫০ টাকা হাঁকছেন তারা।

নগরীর সাহেব বাজার মাস্টারপাড়া কাঁচাবাজার থেকে তরমুজ কিনে ফিরছিলেন রাইসুল ইসলাম। তিনি বলেন, এতো আগাম তরমুজ তো দেখা যায় না। কেনার সময় খেয়ে দেখলাম, স্বাদও খুব একটা ভালো না। তবে আমার মেয়ে তরমুজ খুব পছন্দ করে। বাজারে নতুন এসেছে দেখে ওর জন্যই কিনলাম।

দর কষাকষি করছেন আরেক ক্রেতা সাব্বির আহমেদ। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে খুব ভালো স্বাদের হবে না। তবুও বাজারে নতুন এসেছে, দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। তাই কেনার জন্য দাম করছিলাম। তবে দাম বেশি চাইছে, তাই কেনা হয়নি।

বিক্রেতা সাইদুজ্জামান বলেন, আমি মৌসুমী ফলের ব্যবসা করি। এখন বিভিন্ন প্রকারের কুল আর পেয়ারা বিক্রি করছি। আমি যে আড়ত থেকে পাইকারি দরে ফল কিনি, তিনি এক চাষির সঙ্গে আগাম চুক্তি করেছিলেন। এখন তরমুজ আগেই পরিপক্ক হওয়ায় চুক্তি অনুযায়ী তাকে জমি থেকে তরমুজ তুলে আড়তে রাখতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, অন্য ফলের সঙ্গে আড়ত মালিক জোর করে তরমুজও দিয়ে দিয়েছেন আজ। বাধ্য হয়ে বাজারে নিয়ে এসেছিলাম। তবে বিক্রি নেই। সবাই দেখছে, কিন্তু কিনছে না কেউই। আড়তদার শফিকুল ইসলাম বলেন, রাজশাহীতে তরমুজ চাষ হয় না। বিভিন্ন জেলা থেকে তরমুজ আনতে হয়। কিন্তু দূর-দূরান্ত থেকে গাড়ি ভাড়া দিয়ে তরমুজ আনতে খরচ বেশি হলেও বাজারে চাহিদা না থাকায় লোকশান গুণতে হবে।

তিনি বলেন, আগাম জাতের আনারকলি, অলক্লিন, চায়না-২, এশিয়ান-২ তরমুজ পরিপক্ক হয়ে গেছে। চাষির সঙ্গে চুক্তি করে ফেঁসে গেছি। ভাবছিলাম চৈত্র মাসে তরমুজ উঠবে। কিন্তু এখন দেখি- ফাল্গুনে উঠে গেছে। বাধ্য হয়ে আড়তে এনেছি। রাখলে নষ্ট হবে, তার চেয়ে কয়েকজন বিক্রেতাকে দিয়ে বাজারে পাঠিয়েছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামসুল হক বলেন, রাজশাহীতে মাত্র ১ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। ভোলা, সিরাজগঞ্জ, বরিশাল, সিলেট অঞ্চল থেকে রাজশাহীতে তরমুজ আসে। এতে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ে। রাজশাহীর চরাঞ্চলগুলোতে তরমুজ চাষ সম্প্রসারণের ব্যাপারে তারা উদ্যোগ নেবেন।

ঢাকাটাইমস/২৬ফেব্রুয়ারি/আরআর/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :