রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা
গাম্বিয়ার পাশে মালদ্বীপ, লড়বেন আমাল ক্লুনি
প্রকাশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:২৪ | আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:২৬
রাখাইনে গণহত্যার অভিযোগ এনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়ার করা মামলায় আফ্রিকার দেশটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ দেশ মালদ্বীপ। বহুল আলোচিত এই মামলায় ‘ন্যায়বিচার’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী আমাল ক্লুনিকেও নিয়োগ দিয়েছে দেশটি।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি মালদ্বীপ সরকারের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবে মালদ্বীপ। পৃথিবীর সর্বোচ্চ আদালতে রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলার জন্য মালদ্বীপের প্রতিনিধিত্ব করবেন আমাল ক্লুনি।
গত ১১ নভেম্বর মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা ওই মামলায় এরইমধ্যে অন্তবর্তী আদেশ দিয়েছে আইসিজে। আদেশের মধ্যে রয়েছে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেয়াসহ বেশ কয়েকটি জরুরি নির্দেশনা। তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ^জুড়ে সমালোচনায় থাকা মিয়ানমার আইসিজের ওই রায় প্রত্যাখ্যান করেছে।
আইসিজের আদেশে বলা হয়েছে- জাতিসংঘ কনভেনশন অনুযায়ী মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দিতে হবে; গণহত্যার প্রমাণ ধ্বংস করা যাবে না; সশস্ত্র বাহিনী পুনরায় কোনো গণহত্যা ঘটাতে পারবে না এবং প্রতি চার মাস পরপর মিয়ানমারকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে যতদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় প্রকাশিত হয়।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত রোহিঙ্গাদের পক্ষে যে রায় দিয়েছে সেটিকে স্বাগত জানিয়েছে মালদ্বীপ সরকার। এক বিবৃতিতে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘মিয়ানমারে সংগঠিত গণহত্যার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এখনো অনেক পথ বাকি। আদালতের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায় বিচারের জন্য চেষ্টা করবো।’
উল্লেখ্য, মানবাধিকার আইনজীবী আমাল ক্লুনি এর আগে মালদ্বীপের আইনসভার স্পিকার ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের পক্ষে আইনি লড়াই করেছিলেন। ২০১৫ সালে নাশিদকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। আইনি লড়াইয়ের পরে জাতিসংঘ নাশিদকে দেওয়া ১৫ বছরের কারাদণ্ড অবৈধ ঘোষণা করেছিল।
পরে ২০১৮ সালে মালদ্বীপের শাসক আবদুল্লাহ ইয়ামিনের পতনের পর মোহাম্মদ নাশিদসহ বেশ কয়েকজন ভিন্নমতাবলম্বীকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয় মালদ্বীপ।
(ঢাকা টাইমস/২৬ফেব্রুয়ারি/আরআর/ডিএম)