গৃহবধূ রোদেলা হত্যা: তিন বছরেও ধরা পড়েনি আসামি

প্রকাশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:৩৩

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফরিদপুরের গৃহবধূ ও কলেজছাত্রী সাজিয়া আফরিন রোদেলা হত্যার তিন বছরেও গ্রেপ্তার হননি তার স্বামী সোহানুর রহমান সোহান। প্রধান এ আসামির অনুপস্থিতিতে আদালতেও তার বিচারকার্য শুরু হয়নি। আসামিদের দ্রুত বিচারের জোর দাবি জানান নিহতের পরিবার।

তাদের অভিযোগ, ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি গোয়ালচামট মহল্লার নতুন বাজার মহল্লার মমিনুর রহমান সেন্টুর ছেলে বিদেশ প্রবাসী সোহানুর রহমান সোহানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই রোদেলাকে নানা কারণে মানসিক নির্যাতন করা হতো। এক পর্যায়ে ১০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য তার স্বামী ও শ^শুরবাড়ির লোকজন তার ওপর শারীরিক নির্যাতনও চালায়।

এরপর ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ মিলে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে রোদেলাকে হত্যা করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (এসআই) গাফফার জানান, রোদেলার লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে স্বামী সোহানসহ আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।

তারা হলেন- রোদেলার স্বামী সোহানুর রহমান সোহান, ননদ সুমি বেগম, শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম, ভাসুর সুমন, ভাসুরের স্ত্রী রেখা বেগম, শ্বশুর মোমিনুর রহমান সেন্টু, ননদের স্বামী হাফিজ ও সোহানের মামাতো ভাই সাজিদ। ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।

এ ব্যাপারে এপিপি স্বপন কুমার পাল জানান, প্রধান আসামি রোদেলার স্বামী ঘটনার পর হতে পলাতক রয়েছে। তাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। এরপর মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম দ্রুতই শুরু হবে।

রোদেলার পিতা শওকত হোসেনের অভিযোগ, রোদেলাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টাও করেছে তারা।

তিনি বলেন, ‘গত তিনটি বছর মেয়ের হত্যার বিচারের আশায় আদালতের বারান্দায় ঘুরছি। এখনো রোদেলার ঘাতক স্বামী গ্রেপ্তার হয়নি। মামলাটিকে দীর্ঘায়িত করতে নানাভাবে অপচেষ্টা করছে প্রভাবশালী আসামিরা।’

ফরিদপুরের কোতয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই বেলাল হোসেন জানান, এ মামলার প্রধান আসামি সোহানুর রহমান সোহানকে গ্রেপ্তারে পুলিশ জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২৬ফেব্রুয়ারি/পিএল/এলএ)