লোহাগড়ায় চেয়ারম্যান হত্যা মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২১:২৬

নড়াইল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নড়াইলের লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা বদর খন্দকারকে (৪০) কুপিয়ে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা একজন স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায়  ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল শিকদারকে (৪৫) প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত বদর খন্দকারের স্ত্রী নাজমিন বেগম গত মঙ্গলবার রাতে এ মামলা করেন।

অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল শিকদারের বড় ভাই ইবাদত শিকদার, ভাইপো জাকারিয়া শিকদার ওরফে গফফার, ভাগ্নে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক উপ-সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আজাদ সুজন, চাচাতো ভাই এনায়েত শিকদার, সুজন মোল্যা, তিন ভাই ফরিদ শেখ, নজরুল শেখ ও পিকুল শেখ, ফরিদ শেখের ছেলে রোমান শেখ, আকবর খন্দকার, লাবু, দুই ভাই মতিউর রহমান মুন্না মোল্যা ও তারু মোল্যা, সুরুজ মোল্যা এবং বাদশা শেখ। তাদের বাড়ি লোহাগড়া উপজেলার চরবগজুড়ি, পোদ্দারপাড়া, চরকালনা ও ছাগলছিড়া এলাকায়।

এদিকে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার আসামি মতিউর রহমান মুন্নাকে  গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার চরঘোনাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরদিন বুধবার সন্ধ্যায় মুন্না নড়াইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই মিলটন কুমার দেবদাস এ তথ্য জানান। মুন্নাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে লোহাগড়া থানা এলাকা থেকে চরকালনার রুহুল ওরফে ফরিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সামাজিক বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা বদর খন্দকারকে কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার দিকে লোহাগড়া-নড়াইল সড়কের টি-চরকালনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। বদরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রাত ৯টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। 

নিহত বদর খন্দকারের স্ত্রী নাজমিন বেগম বলেন, আমার স্বামীকে এর আগে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টা করেছিলেন আসামিদের কয়েকজন। এ ব্যাপারে আমার স্বামী লোহাগড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিলটন কুমার দেবদাস বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

(ঢাকাটাইমস/২৬ফেব্রুয়ারি/কেএম/এলএ)