দিল্লিতে নিহত বেড়ে ৩৪, গ্রেপ্তার শতাধিক

প্রকাশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:১৩ | আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কে কেন্দ্র করে দিল্লিতে সহিংসতার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। আহতের সংখ্যা দুই শতাধিক। তিনদিন ধরে দেশটির রাজধানীতে চলা এই সহিসংসা সাম্প্রদায়িকতায় রূপ নিয়েছে।

সহিংসতা কবলিত এলাকায় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের যাওয়ার কয়েকঘন্টা পরেই, বুধবার সন্ধ্যায় উত্তরপূর্ব দিল্লির ভজনপুরায় নতুন করে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। খবর এনডিটিভির।

রবিবার থেকে সহিসংতা চলে আসলেও এ নিয়ে বুধবার প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দিল্লির ঘটনা পর্যালোচনা করছেন জানিয়ে টুইটবার্তায় বলেছেন, ‘আমি আমার দিল্লির ভাই বোনদের আবেদন করব, তারা যেন শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখেন’।

মোদি বলেন, ‘দিল্লি বিভিন্ন জায়গার পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে পর্যালোচনা করেছি। শান্তি ও স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে কাজ করছে পুলিশ ও অন্যান্যরা’। শান্তিরক্ষার আবেদন জানিয়ে আরেকটি টুইটে মোদি বলেন, ‘শান্তি ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনাই বিষয়। আমি আমার দিল্লির ভাই ও বোনদের, সবসময় শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। যত দ্রুত সম্ভব শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানো জরুরি’।

দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংঘর্ষে ঘটনা এখনও পর্যন্ত ১৮টি এফআইআর দায়ের হয়েছে এবং ১০৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলেও দাবি করেছে পুলিশ। চাদবাগ, মৌজপুর, জাফরাবাদ সহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বুধবার শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিধানসভায় ভাষণে তিনি বলেন, হিন্দু বা মুসলিম কেউ যেন সংঘর্ষ থেকে ফায়দা তুলতে না পারে। তার কথায়, ‘এখন দিল্লিতে দুটি বিকল্প রয়েছে, মানুষকে এক হয়ে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে, নাহলে তারা একে অন্যকে আক্রমণ এবং মারবে। মৃতদের স্তুপের ওপরে আধুনিক দিল্লি তৈরি সম্ভব নয়। ঘৃণা, সংঘর্ষ, ঘরবাড়ি জ্বালানোর রাজনীতি বরদাস্ত করা যাবে না’।

সেনা নামানোর জল্পনাও খারিজ করে দিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। দিল্লিতে সহিংসতার জন্য বহিরাগত এবং রাজনীতিকদের দায়ী করেছেন কেজরিওয়াল।

দিল্লির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অমিত শাহকে তীব্র আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এই ঘটনার দায়ভার নিয়ে তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ঢাকা টাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/একে