সিরাজগঞ্জে গণধর্ষণ মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:৩৩

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

সিরাজগঞ্জে যুবতীকে গণধর্ষণ মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডিতদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে নির্যাতিত যুবতীকে টাকা আদায় করে দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এর বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এই আদেশ দেন। 

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী গ্রামের মো. রাসেল (২২), সোহেল (২৩), রাজ্জাক (৪১), নাজমুল (২১), নুরু ওরফে নুর ইসলাম (২৩) ও মোমিন (৩১)। আসামিদের মধ্যে সোহেল ও আব্দুল মোমিন পলাতক রয়েছেন। 

সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল হামিদ লাবলু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী গ্রামের ওই মেয়ের পাঁচচিল গ্রামের রাসেলের সাথে মোবাইল ফোনে প্রেম হয়। ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল রাতে ওই যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যমুনা নদীর ভাটপিয়ার চরে আসতে বলেন রাসেল। প্রেমিককে বিশ্বাস করে ভাটপিয়ারী যমুনার চরে গেলে অন্যান্য আসামিদের ফোন করে ডেকে এনে ওই যুবতীকে গণধর্ষণ করেন তারা। এতে নির্যাতিত যুবতী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে আখ ক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকেরা। ভোর ৪টার দিকে নির্যাতিত যুবতীর জ্ঞান ফিরলে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরার পথে অপর আসামি মোমিন তাকে একা পেয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ওই যুবতী ফোন করে তার বোন ভগ্নিপতিকে বিষয়টি জানালে তারা অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় নির্যাতিতার বড় ভাই বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করল আদালত।

(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/জেবি)