ভারতে মেয়ের লাশের কফিনের সামনে বাবাকে পুলিশের লাথি

প্রকাশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:১১ | আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:৪৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে ১৬ বছর বয়সী সন্ধ্যা রাণী নামের এক কিশোরী কলেজ হোস্টেলে আত্মহত্যা করে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে কিশোরীর ময়নাতদন্তের জন্য ফ্রিজার বক্সে লাশ টেনে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল স্থানীয় পুলিশ। মেয়ের ময়নাতদন্ত ঠেকাতে ফ্রিজার বক্সের সামনে শুয়ে কান্নকাটি করতে থাকে সন্ধ্যার বাবা। মেয়ের বাবাকে সরাতে উপর্যুপরি লাথি মারতে থাকে পুলিশ সদস্যরা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বুধবার ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ তামিলনাড়ুর রাজধানী হায়দরাবাদের পতনচেরুর একটি হাসপাতালে এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা যায়। এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

ফ্রিজার বক্সে করে যখন মেয়ের লাশ নিয়ে হাসপাতালের প্রবেশদ্বারে আসেন পুলিশের কয়েকজন সদস্য; তখন তাদের সামনে গিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েন সন্ধ্যার বাবা। এই বাবার প্রতি কোনও ধরনের সহমর্মিতা না দেখিয়ে পতনচেরুর নারায়না কলেজ হাসপাতালের রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য উপর্যুপরি লাথি মারেন পুলিশ সদস্যরা।

জানা যায়, নারায়না রেসিডেন্সিয়াল ক্যাম্পাসে উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষে পড়তেন এই কিশোরী। মঙ্গলবার হোস্টেলের বাথরুম থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আত্মহত্যার খবর পেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে কারণ জানতে চান বাবা-মা। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো জবাব না দিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করে।

কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পরিষ্কার ব্যাখ্যা পাওয়ার দাবিতে বুধবার কলেজ ক্যাম্পাসে মেয়ের মরদেহ নিয়ে আসেন সন্ধ্যা রানীর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কলেজে এসে কাউকে পাননি তারা। এদিকে আবারও কলেজ ক্যাম্পাসে এসে সন্ধ্যা রানীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ।

এ সময় ওই ছাত্রীর বাবা-মা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা বাধা দেন। কিন্তু এবার তাদের সেই চেষ্টা বিফলে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য সরকারি একটি হাসপাতালে মরদেহ নিয়ে যায় পুলিশ।

 (ঢাকা টাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/আরআর)