বইমেলায় এসেছে ‘গণমাধ্যমের গন্তব্য’

প্রকাশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২১:৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে গণমাধ্যম নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ, গণমাধ্যমের ইতিহাস, ঐতিহ্য, পলিসি, বর্তমান চিত্র, প্রতিবন্ধকতা, প্রতিকার, ভবিষ্যৎ ও সম্ভাবনা নিয়ে লেখা বই ‘গণমাধ্যমের গন্তব্য’। এটি প্রকাশ করেছে ঘাসফুল প্রকাশন। দৈনিক অধিকারের ব্যবস্থাপনায় এটি সম্পাদনা করেছেন সম্পাদক তাজবীর সজীব।

‘গণমাধ্যমের গন্তব্য’ গ্রন্থে থাকছে গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ও সময়ের উপযোগী তাত্ত্বিক বিষয়বস্তু। একই সঙ্গে থাকছে গণমাধ্যমের নেতৃস্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যাপ্তিতে সুখ্যাতি অর্জনকারী ব্যক্তিবর্গ, সম্পাদক, টেলিভিশন ও পত্র-পত্রিকার জ্যেষ্ঠ এবং তরুণ সাংবাদিকদের বর্তমান গণমাধ্যম ও ভবিষ্যৎ গন্তব্য নিয়ে অভিমত। বইটি গণমাধ্যমের সময়োপযোগী বলে জানান সম্পাদক তাজবীর সজীব।

দৈনিক অধিকার ও ‘গণমাধ্যমের গন্তব্য’ গ্রন্থের সম্পাদক গ্রন্থটি সম্পর্কে বলেন, ‘দৈনিক অধিকারের ব্যবস্থাপনায় আমার সম্পাদনায় গণমাধ্যম নিয়ে বড় পরিসরের কলেবরের গ্রন্থ ‘গণমাধ্যমের গন্তব্য’। অমর একুশে বইমেলা ২০২০-এর শুরু থেকেই বইটি পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার, ভালোলাগার ব্যাপার, আমার সম্পাদিত এই বইটিকে সমৃদ্ধ করেছে গণমাধ্যমের নেতৃস্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যাপ্তিতে সুখ্যাতি অর্জনকারী ব্যক্তিবর্গ, সম্পাদক, টেলিভিশন ও পত্র-পত্রিকার জ্যেষ্ঠ এবং তরুণ সাংবাদিকগণ। তারা গ্রন্থটিতে করেছেন গণমাধ্যম নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ। গণমাধ্যমের ইতিহাস, ঐতিহ্য, পলিসি, বর্তমান চিত্র, প্রতিবন্ধকতা, প্রতিকার, ভবিষ্যৎ ও সম্ভাবনা নিয়েও লিখেছেন। এছাড়াও আছে সাক্ষাৎকার ভিত্তিক ভাবনার একীভূতকরণ, গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন বর্তমান এবং দুজন সাবেক উপাচার্যদের চোখে গণমাধ্যমের চিত্র, ভূমিকা, প্রভাব, পরিধি, ব্যাপ্তি, সংকট, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ।’

গণমাধ্যম নিয়ে যারা ভাবে, এই গ্রন্থটি পড়ার পর তাদের জন্য নতুন অথবা পুরনো ভাবনার খোরাক মিটিয়ে নতুন ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সময়ে যে ভাবনাগুলো বারবার মাথায় বিশ্বাসঘাতকতার খেলা খেলেছে, এই বইটি সেখানে আজ সব ধাঁধার উত্তর মিলিয়ে দিতে পারে। যারা গণমাধ্যমকে নেশা এবং পেশা বানিয়ে ফেলেছেন, কেউ দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছেন সামনের পথে, কেউবা এগোতে চান, কেউ নিশ্চয়ই আছেন এমন দলে যারা গণমাধ্যম নিয়ে চূড়ান্তভাবে হতাশ, সব ছেড়েছুড়ে দূরে কোথাও চলে যাবার পরিকল্পনায় ব্যস্ত তাদের জন্যও এই বইটি।’

গ্রন্থটিতে লিখেছেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতা শিক্ষার পথিকৃৎদের অন্যতম অধ্যাপক সাখাওয়াত আলী খান, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং চ্যানেল আইয়ের অন্যতম কর্ণধার শাইখ সিরাজ, চ্যানেল আইয়ের নিউজ এডিটর আদিত্য শাহীন, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের হেড অফ নিউজ এবং ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের চেয়্যারম্যান রেজোয়ানুল হক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবং দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, এস এ টিভির নিউজ এডিটর রনজক রিজভী, চ্যানেল আই ডিজিটাল এবং ইউটিবের প্রধান দায়িত্বশীল আসাদ ইসলাম, জাগো নিউজ ২৪ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের স্পোর্টস এডিটর রাকিবুল হাসান, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, ছড়াকার এবং দৈনিক সারাবাংলা ও সারাবাংলা ডট নেটের উপসম্পাদক পলাশ মাহবুব, যমুনা এবং মোহনা টেলিভিশনের সাবেক চিফ নিউজ এডিটর সিনিয়র সাংবাদিক রহমান মুস্তাফিজ, আরটিভি অনলাইনের প্রধান দায়িত্বশীল আবদুল হাকিম চৌধুরী; সাংবাদিক এবং নন্দিত কলামিস্ট মীর আব্দুল আলীম, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) সহকারী প্রশিক্ষক নাসিমূল আহসান, দৈনিক সময়ের কাগজের সম্পাদক ও প্রকাশক আবু বকর সিদ্দিক, আরটিভি অনলাইনের ডেপুটি নিউজ এডিটর মাজহার খন্দকার, মফস্বল সাংবাদিক নজরুল ইসলাম শুভ এবং কাজী মো. কামাল হোসেন, তরুণ লেখক ও কলামিস্ট ওয়াহেদ সবুজ এবং মাহবুব নাহিদ; তরুণ সাংবাদিক ও লেখিকা নিশীতা মিতু এবং দৈনিক অধিকারের সহযোগী সম্পাদক গোলাম যাকারিয়া।

এছাড়াও শিক্ষাবিদদের চোখে গণমাধ্যমকে দেখার চেষ্টা স্বরূপ থাকছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ; ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রাশিদ আসকারী স্যার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ মৃত্তিকা বিজ্ঞান সোসাইটির সভাপতি ড. এস এম ইমামুল হক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ আর্থকোয়েক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী।

ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/ইএস