মোদিবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল বায়তুল মোকাররম

প্রকাশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:২০ | আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দিল্লিতে মুসলমানদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকা বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। শুক্রবার বাদ জুমা মসজিদের উত্তর গেইটে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন মুসল্লিরা। এতে যোগ দেন বিভিন্ন ইসলামি দলের নেতাকর্মীরা।

বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর সমালোচনা করেন বক্তারা। মোদিকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না বলেও ঘোষণা দেন তারা। প্রয়োজনে বিমানবন্দর ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন ইসলামি দলের নেতারা।

নরেন্দ্র মোদিকে ‘খুনি’ আখ্যা দিয়ে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, ‘মোদি একজন খুনি। ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর মোদি সরকার নির্যাতন হত্যা চালাচ্ছে। যে সময়ে বাংলাদেশে সম্প্রীতি বিরাজ করছে, সেই সময় দেশে কোনোভাবে খুনি মোদিকে ঢুকতে দেয়া হবে না।’

কাসেমী বলেন, ‘দিল্লিতে পরিকল্পিতভাবে মুসলমানদের ওপর হত্যা, নির্যাতনের প্রতিবাদে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। শুধু তাই নয়, মসজিদ আল্লাহর ঘর, ভারতে মসজিদে হামলা হচ্ছে। মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। ভারতের মুসলমানদের নাগরিকত্ব বাতিলের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’

হেফাজতে ইসলামের এই নেতা বলেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, অবিলম্বে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন, হত্যা বন্ধ করা হোক। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা, মানবাধিকার সংস্থাসমূহ এ হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হোক। বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানাই, আমাদের বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ, আমাদের দেশ শান্তির দেশ। এ দেশে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানসহ মুসলিম, অমুসলিমরা সবাই একসঙ্গে বসবাস করছে। আমরা অমুসলিমদের ওপর কখনো আক্রমণ করি না।’

 

সমাবেশের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম থেকে শুরু হয়ে পল্টনের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে। এ সময় তারা নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এর আগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল থেকে বায়তুল মোকাররম এলাকায় জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন ইসলামি দলের নেতাকর্মীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বায়তুল মোকাররম, পল্টন ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে।

প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধন বিল নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে চলছে আন্দোলন। সরকারবিরোধী এই আন্দোলন চলাকালে হিন্দু উগ্রবাদীদের নির্যাতনে এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই মুসলিম।

(ঢাকাটাইমস/২৮ফেব্রুয়ারি/জেবি)