পাপিয়ার দুই সহযোগী ফের রিমান্ডে
নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের (বর্তমানে বহিষ্কৃত) সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়ার দুই সহযোগীর আবার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। দুই আসামি হলেন সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবা নুর।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে রবিবার এই রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. সাইফুল ইসলাম। ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মাদ দিদার হোসেন শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সদস্য হয়ে অবৈধ মাদক, অস্ত্র ব্যবসা, চোরা চালান, অর্থের বিনিময়ে জমি জখল, বেদখল ও অনৈতিক ব্যবসাসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে জানা যায়। পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমন তাদের সহযোগিতায় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ও স্বল্প শিক্ষিত নারীদের চাকরির প্রলোভনের মাধ্যমে সংগ্রহ করে তাদের দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ও ব্যবহার করে তদবির বাণিজ্যের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে মর্মে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আসামিদের আরও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে পুনরায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা প্রয়োজন।
আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মীর মো. শাখাওয়াত হোসেনসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া ও তার স্বামীর সঙ্গে এ আসামিদের বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। একইদিন পাপিয়া ও তার স্বামীর অন্য দুই মামলায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। তারা উভয়ই বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারের সময় পাপিয়ার কাছ থেকে দুটি পাসপোর্ট, নগদ এক লাখ ৭৮ হাজার টাকা, ১৬টি এক হাজার টাকার জাল নোট, পাপিয়ার স্বামী সুমনের কাছ থেকে দুটি পাসপোর্ট, নগদ ১৫ হাজার টাকা, ১১ হাজার ৪৮১ ইউএস ডলার, ৩০১ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলংকান রুপি, আসামি সাব্বিরের কাছ থেকে দুটি পাসপোর্ট, নগদ পনেরশ টাকা, চারটি এক হাজার টাকার জাল নোট ও ছয়টি একশ টাকার জালনোট এবং আসামি তায়্যিবার কাছ থেকে একটি পাসপোর্ট, নগদ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা, দুটি ডেভিড কার্ড উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করে র্যাব। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া ও তার স্বামীদের দেয়া তথ্য মতে তাদের ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি অবৈধ অস্ত্র, দুটি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করে র্যাব। ওই ঘটনায় শেরেবাংলানগর থানায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক দুই মামলা করে র্যাব।
(ঢাকাটাইমস/০১মার্চ/আরজেড/জেবি)