চাঁদপুরে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ মার্চ ২০২০, ১৯:৫২

চাঁদপুরে হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন দেয়া হয়েছে। রবিবার বিকালে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ জুলফিকার আলী খাঁন এ রায় দেন। এসময় হত্যা মামলার আরো দুই আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জেলার হাজীগঞ্জের পশ্চিম কাজীরগাঁও গ্রামের মিয়াজী বাড়ির জুয়েল, রিপন ও ফারহানা।

জানা গেছে, পুকুর ঘাটে গরু বাঁধাকে কেন্দ্র করে নাসির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার অপরাধে তাদের এ সাজা দেয়া হয়। মামলার প্রধান আসামি জুয়েলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আসামি রিপনকে ৩২৬ ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড, ৩২৩ ধারার এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩২৪ ধারায় অপরাধে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অপর আসামি ফারহান ওরফে ফেন্সীকে ৩২৩ ধারায় ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মামলার বাদী গিয়াস উদ্দিন ও তার আপন ভাই নিহত নাসির উদ্দিন রমজান ইফতারের পরে বাড়ির পুকুরে নামাজের জন্য অযু করতে যান। ওই সময় বাড়ির ইজমালি রাস্তায় পুকুরের পাড়ে রিপনদের একটি গরু দেখতে পায়। তখন নাসির ওই গরুটির রশি খুলে দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রিপন তাদের ঘরে থাকা শাবল দিয়ে নাসিরকে পেটায়। নাসির চিৎকার করলে রিপনের সঙ্গে জুয়েল ও ফেন্সিও ঘরে থাকা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নাসিরকে বেধম পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাকে উদ্ধার করার জন্য তার স্বজনরা এলে তাদেরও মারধর করে। পরে নাসিরকে হাজীগঞ্জে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখান থেকে কুমিল্লা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে নেয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ সেপ্টের দুপুর ১২টায় নাসিরের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নাসির উদ্দিনের বড় ভাই গিয়াস উদ্দিন ঘটনার দিন পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদেকুর রহমান ব্যাপক তদন্ত শেষে একই বছরের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় বলেন, মামলাটি প্রায় ১৩ বছর আদালতে চলমান অবস্থায় ১৫ জনের সাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এ রায় দেন। রায়ের সময়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক ছিল।

সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহমেদ। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন রাজেশ মুখার্জি ও মোহাম্মদ ফারুক।

(ঢাকাটাইমস/১মার্চ/পিএল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :