ভোলায় মালিককে বেঁধে মাছের ঘের দখল

প্রকাশ | ০১ মার্চ ২০২০, ২১:৩০

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ভোলা সদর উপজেলায় সাবেক ইউপি সদস্যকে গাছে বেঁধে কুপিয়ে মাছের ঘের দখল করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লাভলু হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এ সময় দখলকারীরা ইউপি সদস্য শফী মাল ও তার বড় ছেলে অলিউল্লাহকে কুপিয়ে জখম করে ওই জমিতে একটি টিনের ঘর উঠিয়ে জমি দখলে নেয়। পরে এলকাবাসী তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

হামলার শিকার শফি মাল উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। শনিবার দিবাগত রাতে ওই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত সাবেক ইউপি সদস্য মো. শফী মাল ও তার পরিবার জানান, দড়িরাম শংকর গ্রামের তাদের তিন একর জমির মাছের ঘেরের জমি নিয়ে লাভলু হাওলাদারের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে তারা উভয় পক্ষ ভোলা সদর মডেল থানায় অভিযোগ করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার ভোলা মডেল থানায় একটি সালিশ মীমাংসা বসে সাবেক ইউপি সদস্যকে ঘেরের মাছ ধরার জন্য অনুমতি দেয়। পরে তিনি মেশিন বাসিয়ে ঘের সেচের কাজ শুরু করেন। শনিবার গভীর রাতের দিকে শফী ও তার ছেলে অলিউল্লাহ ঘের থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথে লাভলু হাওলাদারের নেতৃত্বে নাহিদ, এনায়েত, মিন্টুসহ ৩০-৪০ জন তাদের চারদিকে ঘিরে ফেলে। একপর্যায়ে হাত-পা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। হামলাকারীরা তাদের বেঁধে রেখে ঘেরের জমিতে জোরপূর্বক একটি টিনের ঘর নির্মাণ করেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রবিবার সকালে তাদের পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ভোলা থানায় একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত লাভলু হাওলাদারকে ফোন করলে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে আজ অনেক দিন ধরে শফি মালের সঙ্গে দেখা হয়নি। তবে আমি শুনেছি, স্থানীয় মিন্টু নামে এক লোকের সঙ্গে শফি মালের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তারা জমিতে ঘর তুলতে গেলে মিন্টুর সঙ্গে শফি মালের মারামারি হয়েছে। এ বিষয়ে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন জানান, বিষয়টি আমরা শুনেছি। তবে এখনো কেউ আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১মার্চ/কেএম/এলএ)