জামালপুরে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় রাজস্ব কর্মকর্তার ১২ বছর জেল

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ মার্চ ২০২০, ১৮:২৩

সরকারি রাজস্ব ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কামালপুর স্থল বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ মো. রফিকুল ইসলামকে ১২ বছর ও আমদানিকারক ইমারুল হককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া উভয়কে পাঁচ লাখ ১১ হাজার ২২৮ টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে শেখ রফিকুল ইসলামের দুই বছর ও ইমারুল হকের ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে জামালপুর আদালতের বিশেষ জজ মোহাম্মদ মোহাম্মদ জহিরুল কবির এই রায় ঘোষণা করেন। ২০০৩ সালের ৬ আগস্ট বকশিগঞ্জ থানায় দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০০৩ সালে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দর হয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স শেরপুর ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী ইমারুল হক ভারত থেকে এক হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কয়লা ও ৪০০ মেট্রিক টন পাথর আমদানি করেন। ওই প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা শেরপুর জেলা সদরের নওহাটা ব্যবহার করলেও ইমারুল হকের বাড়ি দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার চন্ডিপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আফাজ উদ্দিন। ওই সময় স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম আমদানিকারক মো. ইমারুল হকের সঙ্গে যোগসাজসে হিসাব সংরক্ষণ না করে আমদানি শুল্ক ও রাজস্ব করের ১০ লাখ ২২ হাজার ৪৫৬ টাকা আত্মসাৎ করেন।

এ ব্যাপারে তৎকালীন জামালপুরের জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সহকারী পরিদর্শক মেনহাজ আলী খান ২০০৩ সালের ৬ আগস্ট বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। আসামি করা হয় আমদানিকারক মো. ইমরারুল হক ও স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামকে। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন, বিশ^াসভঙ্গ, সরকারি আলামত গোপন ও শুল্ক ফাঁকির সহযোগিতার মাধ্যমে সরকারি শুল্ক ও রাজস্ব করের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। দীর্ঘ সাত বছর পর তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৫ জুন দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল হয়। বিচার প্রক্রিয়া চলাকালে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে জামালপুরের বিশেষ জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবির মঙ্গলবার দুপুরে মামলাটির রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার পর আসামি মো. ইমারুল হককে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামি রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার মুখী গ্রামের মৃত আসমত আলীর ছেলে।

(ঢাকাটাইমস/৩মার্চ/কেএম/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :