ফরিদপুরে শিলা বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ক্ষতি, বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
ফরিদপুরের হঠাৎ শিলা বৃষ্টিতে পেঁয়াজ, মশুরি, সরিষাসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোর রাতে জেলার নয়টি উপজেলাতেই হঠাৎ ঝড়োহাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় ১৫ মিনিটের শিলা বৃষ্টিতে উপজেলার ২০ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের আবাদি ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গত বছর পেঁয়াজ চাষিরা পেঁয়াজের মূল্য কম পাওয়ায় এবার তা পুষিয়ে উঠতে পেঁয়াজের আবাদ শুরু করেছিলেন। এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও আর মাত্র ১২/১৫ দিন পর পেঁয়াজ ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছিলেন চাষিরা। সে স্বপ্ন ভাঙল শিলা বৃষ্টিতে। এতে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন জেলার পেঁয়াজ চাষিরা।
এদিকে বজ্রপাতে জেলার সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের চরডুবাইল গ্রামের বরদউদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিনের (৩৫) মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পূরবী গোলদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রুহুল আমিন ক্ষেতে কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে হঠাৎ বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, জেলার নগরকান্দা ও সালথা উপজেলাতে প্রাথমিক তথ্য মতে ৫০-৬০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হালি-পেঁয়াজের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও জেলার অন্য উপজেলাতেও বেশ কিছু পেঁয়াজ, মশুুরিসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের জুঙ্গুরদী গ্রামের কৃষক আলমগীর মোল্যা বলেন, শিলা বৃষ্টিতে তার সাড়ে তিন বিঘা জমির পেঁয়াজ সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে তার প্রায় চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শহীদনগর ইউনিয়নের আরেক কৃষক ওবায়দুর জানান, তার দানার পেঁয়াজ ও চারার পেঁয়াজের আবাদ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।
নগরকান্দা পৌরসভার কৃষক নজির মাতুব্বর বলেন, আমার তিন বিঘা জমির মশুরি, কলাই সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৩মার্চ/কেএম/ইএস)