সরাইলের এএসআই হেলালের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

প্রকাশ | ০৩ মার্চ ২০২০, ২২:২৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের এএসআই মো. হেলাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সরাইল সার্কেলের এএসপিকে। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন তিনি।

এএসআই হেলালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মারধরের একটি মামলায় ১০ বছরের শিশু ইব্রাহিমকে ফাঁসাতে তার বয়স ২২ উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন দেন তিনি। অন্য আরেকটি মামলায় সে সময় কারাগারে থাকা শিশু ইবাহ্রিমের বাবা আবদুস সাত্তার ও আপন ভাই জাবেদ মিয়াকেও আসামি করেন এএসআই হেলাল।

এ নিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত সাক্ষেপে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

গত বছরের ১৫ অক্টোবর সরাইল উপজেলার বিটঘর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার ও তার পরিবারের সব সদস্য এবং তার ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীর বিরুদ্ধে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন শাহেনা বেগম। তিনি আব্দুস সাত্তারের ছোট ভাই ছায়েদ মিয়ার স্ত্রী। তাদের প্রাণনাশের হুমকিতে তিনি বাড়ি ছাড়া রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন শাহেনা।

ইউএনওর কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত অভিযোগটি সরাইল থানার ওসি সাহাদত হোসেন টিটো ডায়েরিভুক্ত (ডায়েরি নং ৬৮১/১৯) করে এএসআই হেলাল চৌধুরীকে সেটি তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই সময় কারাগারে ছিলেন আবদুস সাত্তার ও তার ছেলে মো. জাবেদ। কিন্তু এএসআই হেলাল এ দুজনকে ঘটনায় জড়িত করা ছাড়াও আবদুস সাত্তারের শিশু পুত্র ইবাহিমকেও একই ঘটনায় আসামি বানিয়ে প্রসিকিউশন দেন।

এর আগে শাহেনারই দায়ের করা আরেকটি মামলায় (মামলা নং-৩৩, তারিখ ২৮.০৯.২০১৯) আবদুস সাত্তার ও তার ছেলে জাবেদকে গ্রেপ্তার করে ৭ অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে  জেলে পাঠায় পুলিশ। এরপর ২৪ অক্টোবর জামিনে কারামুক্ত হন তারা। আবদুস সাত্তার কারাগার থেকে বেরিয়ে হেলাল ও শাহেনার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন। এই মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অফিসার ইনচার্জ) আমিনুর রশিদ বলেন, আদালত থেকে ২ দিন আগে তারা তদন্তের নির্দেশ পেয়েছেন। তদন্ত শুরু করেছেন তারা।

অভিযোগ উঠেছে, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এবং অভিযোগকারী শাহেনার সঙ্গে সখ্যের কারণে এএসআই হেলাল ঘটনার তদন্ত না করেই প্রতিবেদন দেন।

(ঢাকাটাইমস/৩মার্চ/মোআ)