স্কুলছাত্রী হত্যা: ‘স্বামী’র দায় স্বীকার
গোপনে সৎ মামার সাথে প্রেম চলছিল ঠাকুরগাঁওয়ের আলোচিত হত্যার শিকার স্কুলছাত্রী শ্রাবণী রাণীর। এক মাসে হলো পাশের একটি মন্দিরে গিয়ে সিঁদুর পড়িয়ে স্কুলছাত্রীকে বিয়েও করেন সৎ মামা। বিয়ের পর মোবাইলে কথা বলা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঘরে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে হত্যা করেন তিনি। আদালতে বিচারকের সামনে এমন স্বীকারোক্তি তিনি দিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আবু তাহের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান। বুধবার ভোরে সোহাগকে আটক করে পুলিশ।
নিহত শ্রাবণী রানী সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের আাশ্রমপাড়া এলাকার ভবেশ রায়ের মেয়ে। সে ঠাকুরগাঁও সিএম আইয়ুব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
আটক সোহাগ বর্মণ সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের সিংগিয়া সরকারপাড়া গ্রামের ধীরেন চন্দ্র বর্মনের ছেলে এবং সে নিহত স্কুলছাত্রীর সৎ মামা।
সংবাদ সম্মেলনে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম, পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মর্তুজাসহ সদর থানার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে স্বামীর ধারালো চুড়ির কোপে নিহত হয় স্কুলছাত্রী শ্রাবণী রানী। পরে রাতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে সোহাগ বর্মণের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি মামলা করে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনিয়নের আশ্রমপাড়া এলাকায় ঠাকুরগাঁও-ররুহিয়া সড়কের উপরে এই মানববন্ধন করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এতে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
(ঢাকাটাইমস/৫মার্চ/এলএ)