‘সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করতে দুর্বলের পক্ষে ঝুঁকতে হবে’

প্রকাশ | ০৬ মার্চ ২০২০, ১৫:৪৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সমাজে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গেলে একজন বিচারপতিকে দুর্বলের পক্ষে ঝুঁকে থাকতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের দিল্লি হাইকোর্টের সদ্য বিদায়ী বিচারপতি এস মুরলীধর। গত সপ্তাহে দিল্লিতে দাঙ্গায় বিচারিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য দিল্লি পুলিশকে ভৎর্সনার পাশাপাশি উসকানিমূলক বিবৃতি দেওয়ার জন্য বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। পরে ওই দিন রাতেই তাকে পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলি করা হয়। 

বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টের হলঘরে নিজের বিদায়ী সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন মুরলীধর। 

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিচারপতি মুরলীধর জানান,‘৮০ বছর বয়সী কাউকে পেনশন পাইয়ে দিতে পারলে, মৃত বাস কন্ডাক্টরের পরিবারকে সুরাহা দিতে পারলে বা নিয়মের ভুলে চাকরি যাওয়া সিআরপি জওয়ানকে তা ফিরিয়ে দিতে পারলেই তিনি বেশি তৃপ্তি পান। ভবিষ্যতেও তিনি প্রান্তিক, দুর্বল মানুষের পক্ষে থাকার অঙ্গীকার করেছেন।’ 

মুরলীধর বলেন, ‘ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে কার ক্ষমতা বেশি, তা বিচার করতেই হবে। সমান ন্যায় করতে দুর্বলের দিকেই ঝুঁকে থাকতে হবে। গান্ধীর দুর্বলতমের পাশে দাঁড়ানো ও অম্বেডকরের সাংবিধানিক নৈতিকতার নীতি মেনে চলতে হবে।’

২৬ ফেব্রুয়ারি নিজের বদলি হওয়ার দিনটাকে ‘দীর্ঘতম কাজের দিন’ আখ্যা দিয়েছেন বিচারপতি মুরলীধর। তার আগের দিন রাত সাড়ে ১২টায় তিনি নিজের বাড়িতে আদালত বসান। দিল্লির সহিংসতার ফলে বহু মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে আইনজীবীরা তার কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। সে রাতেই তাঁর প্রিয় পোষা ল্যাব্রাডরও মারা যায়।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মুরলীধর নিজে বলেন, ‘‘১৭ ফেব্রুয়ারি কলেজিয়াম থেকে চিঠি দিয়ে আমাকে বদলির সুপারিশের কথা জানানো হয়। আমি আপত্তি জানাইনি।’’ মজা করে বলেন, ‘‘বদলি করলেও আমাকে দেশের সেরা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির পদ থেকে কেউ সরাতে পারবে না।’’

(ঢাকা টাইমস/৬মার্চ/আরআর)