ওয়েস্টিনে ধর্ষণের অভিযোগে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ | ০৭ মার্চ ২০২০, ২১:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পাপিয়াকাণ্ডে আলোচনার তুঙ্গে থাকা রাজধানীর গুলশানের পাঁচ তারকা ওয়েস্টিন হোটেলে এবার ধর্ষণের ঘটনা চাউর হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক তরুণী। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ওই ব্যবসায়ী এখন তরুণীকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় ঘটে ওই ধর্ষণকাণ্ড। তবে তা জানাজানি হয় সম্প্রতি।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি গুলশান থানায় ওই তরুণীর করা ধর্ষণ মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলামকে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আমিনুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, প্রায় ১৫ দিন আগে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মামলার আসামি আমজাদ হোসাইন এফবিসিসিআইয়ের একজন পরিচালক। তিনি গুলশানের জনতা ট্র্যাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার বাবা মোহাম্মদ আকরাম হোসেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিলেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৫ ডিসেম্বর হোটেল ওয়েস্টিনে এক অনুষ্ঠানে আমজাদের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয়। এর সূত্র ধরে তাদের মধ্যে ফোনে ও বিভিন্ন অ্যাপে নিয়মিত বার্তা আদান-প্রদান হতো। এরপর গত ৩ জানুয়ারি বিকালে আমজাদ ওই তরুণীকে ওয়েস্টিনের ১৯১৬ নম্বর কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে ‘শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য জোর’ করেন। তবে ওই তরুণীর আপত্তিতে সেদিন তা পারেননি আমজাদ।

ওই তরুণী বলন, ১৬ জানুয়ারি রাত ১০টা ২০ মিনিটে তার ধানমন্ডির বাসার কাছে গিয়ে আমজাদ তাকে নিচে নামতে বলেন। তিনি প্রথমে রাজি হননি। পরে আমজাদের পীড়াপীড়িতে নেমে আসেন। আমজাদ তার গাড়িতে করে তাকে (তরুণী) ওয়েস্টিন হোটেলে নিয়ে যান। রাত সোয়া ১২টার দিকে তাকে নিয়ে আমজাদ তার বন্ধু নাহিয়ানের নামে ভাড়া করা ১০১০ নম্বর কক্ষে যান।

‘কক্ষে নেওয়ার পর আমাকে একপর্যায়ে কুপ্রস্তাব দেয় আমজাদ।’ বলেন তরুণী, ‘তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়। রাত পৌনে ১টার দিকে আমাকে ধর্ষণ করে। আমি প্রতিবাদ করেও তার হাত থেকে রেহাই পাইনি।’

এজাহারে বলা হয়, সেই রাতের পর আমজাদ বিয়ের বিষয়ে ওই তরুণীকে ঘোরাতে থাকেন। একপর্যায়ে বিয়ে করবেন না বলে জানিয়ে দেন এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন।

মামলার তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে পিবিআই ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পুলিশ সুপার (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ) মো. শাহাদাত হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি বেশি দিন হয়নি। মামলাটির আগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়েস্টিন হোটেল থেকে বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করেছেন, যা আমরা হাতে পেয়েছি। আর সাক্ষীদের জবানবন্দিও নিয়েছি। তবে মেডিকেল প্রতিবেদন এখনো হাতে পাইনি।’ আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন বলে জানান তিনি। 

এ ব্যাপারে জানতে ওয়েস্টিন হোটেলের টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে এক নারী কর্মকর্তা ফোনটি রিসিভ করেন। তিনি নিজের নাম-পরিচয় গোপন করে ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আপনি আগামীকাল সকালে ফোন করবেন, আমরা কোনো কথা বলার জন্য অথরাইজড না।’

(ঢাকাটাইমস/৭মার্চ/এএ/জেবি/মোআ)