নিখোঁজের পাঁচদিন পর প্রেমিকার বাড়িতে যুবকের লাশ
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় পরকীয়ার জেরে আল কাইয়ুম নিপুণ (৩৩) নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভাগ্যেরপাড়া গ্রামের মোকারমের বাড়ির সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে ওই যুবকের বস্তাবন্দি গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত কাইয়ুম নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়া গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। বাবা প্রবাসে থাকায় মা, ভাই, স্ত্রী ও ১১ বছরের মেয়েকে নিয়ে নরসিংদী শহরের ভেলানগর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন কাইয়ুম। গত ৩ মার্চ সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, কাইয়ুমের সঙ্গে ভ্যাগেরপাড়া গ্রামের মোকারমের স্ত্রী, এক সন্তানের মা জেসমিন আক্তার সুমির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই কারণে সুমির পরিবারের লোকজন কাইয়ুমকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য বাড়ির পাশে সেফটি ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে। পরে পুলিশ ঘটনার পাঁচদিন পর সোমবার সন্ধ্যার দিকে লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের ভাই জাহিদুল ইসলাম অপু জানান, কাইয়ুম গত ৩ মার্চ সন্ধ্যায় বন্ধুর কাছে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। পরে তাকে না পেয়ে ৪ মার্চ নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।
জিডির সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার সন্ধ্যায় নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দিন ও নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামানসহ পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহেদ আহমেদ জানান, নিখোঁজের পর নিহতের মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তদন্তে নামে পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুমীকে আটক করা হয়। সুমীর দেয়া তথ্য মতে ওই বাড়ির সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে কাইয়ুমের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সুমীসহ নয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৯মার্চ/কেএম/এলএ)