করোনাভাইরাস: শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। পাশাপাশি আক্রান্তদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে জেলায় একটি বিশেষ ‘আইসোলেশন’ ইউনিট চালু করা হয়েছে।
স্থলবন্দরের একটি রুমে বসানো হয়েছে তিন সদস্যের দুটি মেডিকেল টিম। তারা ইনফারেট থার্মোমিটার দিয়ে আগত যাত্রীদের দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা ও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ খবর লেখা পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানায়, নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতকারী যাত্রীদের করোনা ভাইরাস শনাক্তের জন্য প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কাজ করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকরা। করোনাভাইরাস আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া গেলে তাকে জেলা হাসাপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে এবং পরবর্তীতে ঢাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হবে। এছাড়া করোনাভাইরাস সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতে প্রচারপত্র বিতরণ করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ সম্পর্কে শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আনোয়ার রউফ বলেন, নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে যেসব পেসেঞ্জার (যাত্রী) প্রবেশ করছে তাদের প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। যদি পরীক্ষায় কারো জ্বর বা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কোনো লক্ষণ পাওয়া যায় তাহলে আইসোলেশনের জন্য আমাদের মেডিকেল টিম আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমাদের এখানে স্ক্যানার মেশিন নেই, তবে এখানে ইনফারেট থার্মোমিটারের মাধ্যমে আমরা টেমপারেচার নির্ণয় করি।
(ঢাকাটাইমস/১০মার্চ/কেএম/ইএস)