মেহেরপুরে ক্যাপসিকাম চাষ

প্রকাশ | ১১ মার্চ ২০২০, ১৮:১৩

রাজিবুল হক সুমন, মেহেরপুর

প্রথমবারের মতো মেহেরপুরে চাষ হয়েছে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম। বাংলাদেশে এই সবজির ব্যাপক চাহিদা ও বাজারে ভালো দাম থাকায় নতুন এই ফসল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। অন্যান্য ফসলের চেয়ে খরচের তুলনায় কয়েকগুন লাভজনক ক্যাপসিকাম চাষ। তবে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা না পাওয়ায় একেবারে নতুন এসব ফসল চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন  চাষিরা।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নতুন ব্রজপুর গ্রামের ইমরান হোসেন। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করেন। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্যাপসিকাম চাষ লাভজনক দেখে একজনের মাধ্যমে তাইওয়ান থেকে বীজ সংগ্রহ করেন। চারা দেওয়ার পর এক বিঘা জমিতে চাষ করেন ক্যাপসিকাম।

প্রথমে বীজ থেকে চারা তৈরি করা হয়। এরপর মালচিং পদ্ধতিতে আলাদা জমিতে রোপন করা হয়েছে চারা। বীজ থেকে চারা রোপনের ৬৫দিন পর থেকে ফুল ধরতে শুরু করেছে। প্রতিটি গাছেই এখন ফুল আর ফল দেখা যাচ্ছে। আর কিছুিদন পর এখান থেকে ঢাকার বাজারের জন্য প্রস্তুত হবে এই ক্যাপসিকাম। এক বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করতে খরচ হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। যদি রোগ বালাই ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে না পড়ে, তাহলে ক্যাপসিকাম বিক্রি করে আয় হবে প্রায় তিন লাখ টাকা।

একই এলাকার কৃষক রনি জানান, মেহেরপুরে এর আগে ক্যাপসিকাম হয় বা হয়েছে, এমন খবর দেখি নাই। প্রথম আমাদের এলাকায় ক্যাপসিকাম চাষ দেখছি। ফলও ভালো হয়েছে। এটা দেখে আগ্রহী হব এবং আগামীতে আমরাও ক্যাপসিকাম চাষ করব আশা করছি।

আরেক কৃষক জানান, আমাদের মাঠে এই ফল কোনদিন চাষ করতে দেখিনি। এই প্রথম দেখছি টমেটোর মত বড় বড় ফল গাছে ধরে আছে দেখতে খুব সুন্দর। এটা চাষ করলে মনে হয় লাভ হবে। এই প্রথম আমরা দেখছি চাষ করতে।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম শাহাবুদ্দিন বলেন, ক্যাপসিকাম একটি বিদেশি সবজি। এটি অত্যন্ত লাভজনক। বিশেষ করে শহর এলাকায় রেস্টুরেন্ট ও অভিজাত হোটেলগুলোতে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কৃষক ভাইয়েরা চাহিদার কথা জানতে পেয়ে এই চাষে এগিয়ে আসছেন। কৃষি বিভাগও সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য তৎপর রয়েছে। এক বিঘা ক্যাপসিকাম চাষের যে খরচ তার থেকে কয়েকগুণ লাভ হবে। যার কারণে কৃষকরা এই চাষে আরো আগ্রহী হয়ে উঠবে।

(ঢাকাটাইমস/১১মার্চ/কেএম/এলএ)