ন্যায্য মজুরি মিলছে না নারী কৃষিশ্রমিকদের
কুড়িগ্রামে কৃষিকাজে নারীদের অংশগ্রহণ পুরুষের থেকে কোনো অংশে কম নয়। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীর অংশগ্রহণই বেশি। তবে নারীদের শ্রম অনুযায়ী দেয়া হচ্ছে না সঠিক মজুরি। পুরুষ শ্রমিকের মজুরি যেখানে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, সেখানে নারী শ্রমিকরা পাচ্ছেন মাত্র ১৮০ টাকা।
মাঠে কাজ করতে আসা কুড়িগ্রাম সদর ইউনিয়নের কাঠালবাড়ী এলাকা নারী শ্রমিকেরা বলেন, কী করব ভাই। কাজ না করলে যে সংসার চলে না। তাই যখন যে কাজ পাই, তখন সেটাই করি। আমাদের একেকটি পরিবারে ছয়-সাতজন সদস্য। তার মধ্যে একজনের দিন মজুরি দিয়ে সংসার চলে না। তাই আমরা কাজে এসেছি, যা আয় হয় তা সংসারে ব্যয় করি।
তারা আক্ষেপ করে বলেন, সারাদিন পরিশ্রম করে ১৮০ টাকা পাই। সকাল থেকে শুরু করে বিকাল পর্যন্ত কাজ করতে হয়। আমাদের দেখার মতো কেউ নেই। পুরুষ মানুষ সারাদিন কাজ করে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পায়, আমরা নারীরা কাজ করে ১৮০ টাকা পাই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠে ১৫-২০ জন নারী আলু তোলার কাজ করছেন। তাদের মধ্যে হালিমা বেগম, রহিমা বেগম ও আলেয়া বেওয়া জানান- তারা সারদিন কাজ করে মজুরি ১৮০ টাকা করে পান।
জমির মালিক বাদশা মিয়া বলেন, আমাদের এখানে নারীদের পারিশ্রমিক ১৮০ টাকা দেয়া হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলেই আমি কাজে নিয়েছি।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহানা আক্তার বলেন, কুড়িগ্রামের নারীদের জন্য শতভাগ মজুরিতে কাজের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। বিছিন্নভাবে যেসব নারী কাজ করছে, তারা মজুরি কম পাচ্ছে। তবে আমরা নারীদের মাঝে সচেতনতা বাড়াচ্ছি যেন তারা কম মজুরিতে কাজ না করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/কেএম/এলএ)