পুলিশ হেফাজতে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু, স্বজনদের দাবি হত্যা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ মার্চ ২০২০, ২২:৪৪

চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ হেফাজতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান মারা গেছেন। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাকে আটক করে জেলার দামুড়হুদা থানা পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান।

নিহত ছাত্রলীগ নেতা জাহিদের পরিবারের অভিযোগ- আটকের পর পুলিশ সদস্যরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

তবে পুলিশ বলছে, ফেনসিডিলসহ আটকের পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জাহিদের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত জাহিদ হাসান দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের মৃত লাল মোহাম্মদের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জাহিদ হাসানসহ তার বেশ কয়েকজন সহযোগী সন্ধ্যায় জয়রামপুর রেল স্টেশনের কাছে বসেছিল। এ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দামুড়হুদা থানা পুলিশের একটি দল সেখান থেকে জাহিদ হাসান ও তার সহযোগী হাবিবুরকে দুই বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে। আটকের পর তাদের টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ মারা যায়।

নিহত জাহিদ হাসানের চাচা পেয়ার আলীর অভিযোগ, আটকের পর প্রকাশ্যে তাদের পেটাতে থাকে পুলিশ। এমনকি গাড়িতে তুলেও পেটানো হয়। পুলিশের পিটুনিতেই জাহিদের মৃত্যুর অভিযোগ তার।

নিহতের স্ত্রী লিপি খাতুন খাতুনের অভিযোগ, রাজনীতির প্রতিপক্ষরাই পুলিশকে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে তার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের শাস্তিরও দাবি জানান তিনি।

তবে দামুড়হুদা থানার ওসি আব্দুল খালেক নিহত জাহিদ হাসানের পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, দুই বোতল ফেনসিডিলসহ জাহিদ ও তার সহযোগীকে আটক করা হয়। আটকের পর বুকে ব্যথা অনুভব করে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত নেওয়া হয় দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে পরিস্থিতির অবনতি হলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক জাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক নিহতের পরিবারের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জাহিদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে দাবি করেন।

এদিকে, ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসানের মৃত্যুর খবরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছুটে যান আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় নেতাকর্মীরা জাহিদের মৃত্যুতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোটা হাসপাতাল এলাকাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের ও বর্তমান সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক নিহত জাহিদের মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দ্রা জানিয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :