মধ্যরাতে সাংবাদিককে দণ্ড, লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ মার্চ ২০২০, ১১:১৪
সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগান (ফাইল ছবি)

কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ড দেয়ার ঘটনা ঘটেছে কি-না, তা তদন্তের জন্যে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট ছয়জনের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

শনিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মুহিদুল কবির গ্যারান্টিযুক্ত এক্সপ্রেস পোস্ট (জিইপি) এবং ই-মেলের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, পুলিশ সুপার (এসপি) ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রতি এই নোটিশ পাঠান।

রবিবার নোটিশের বিষয়টি ঢাকা টাইমসকে জানান এই আইনজীবী।

টাস্কফোর্স গঠন করা হয় জরুরি কোনো বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে। টাস্কফোর্স গঠন করে থাকলে কেন করা হয়েছে, তা নোটিশে জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মোবাইল কোর্টে সাজা যদি হয়ে থাকে তবে তা কেন এবং অভিযুক্তকে যে স্থান থেকে ধরা হয়েছে সেখানে কেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়নি তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সাংবাদিককে ধরে এনে মোবাইল কোর্টে দণ্ড দেয়ার ঘটনায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীন জড়িত কি-না তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করারও দাবি জানানো হয়েছে নোটিশে।

নোটিশের জবাব না পেলে তিনি পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তিকে (অভিযুক্তকে) তার ঘর থেকে ধরে নিয়ে ডিসি কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা মোবাইল কোর্ট অধ্যাদেশ ধারা-৬ এবং ৭ এর পরিপন্থী বা অবৈধ আটকাদেশ।

তিনি বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিসি কার্যালয়ে সাংবাদিককে ধরে এনে দণ্ড দেয়ার ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যে নোটিশে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নোটিশ পাওয়ার পর আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে মুক্তি দিতে বলা হয়েছে। আর তা না হলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গত শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে কুড়িগ্রামের বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক এবং পরে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের সময় মাদকসহ আরিফুল ইসলাম রিগানকে আটক করা হয় বলে দাবি করেছেন অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা। তবে, আরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার বলেছেন, ‘মধ্যরাতে বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে আরিফকে পেটানো, জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। কোনো মাদক পাওয়া যায়নি।’

মাদকবিরোধী অভিযানের’ উদ্যোগ জেলা প্রশাসন নাকি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কুড়িগ্রাম জেলা কার্যালয় নিয়েছিল, তা নিয়ে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।

রাতের বেলায় সাংবাদিককে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে কুড়িগ্রামে রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার পৌঁছেছেন। তাকে এ ব্যাপারে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ, আনসার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানের সময় মাদকসহ আরিফুল ইসলাম রিগানকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে তিনি দোষ স্বীকার করায় এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আরিফের স্ত্রী মোস্তারিমার অভিযোগ, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন তার নিজ নামে একটি পুকুর করেছিলেন। আরিফুল এ বিষয়ে রিপোর্ট করেছিলেন। এ ছাড়া সম্প্রতি একটি নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন। এ সবই তার জন্য কাল হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/এআইএম/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

গণমাধ্যম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

গণমাধ্যম এর সর্বশেষ

সাংবাদিক মিনার মাহমুদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সাংবাদিক সাব্বিরের ওপর নৃশংস হামলায় ঢাকাস্থ গাজীপুর সাংবাদিক ফোরামের নিন্দা

বাংলানিউজকর্মী মিথুনের ক্যানসার চিকিৎসায় এগিয়ে এলো বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন

আজ ভোরের পাতা সম্পাদকের পিতার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী

সাংবাদিক মোহসিন কবিরকে মারধরের ঘটনায় ডিআরইউর প্রতিবাদ

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ সাংবাদিককে বহিষ্কারের নিন্দা বিএফইউজের

ডিইউজে নির্বাচন: সোহেল-তপু সভাপতি, আকতার সম্পাদক

ঈর্ষান্বিত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফাঁসানো হচ্ছে ঢাকা টাইমস সম্পাদককে

শেরপুরের সাংবাদিক রানাকে কারাদণ্ডে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ

নকলায় সাংবাদিককে কারাদণ্ড: আইন ও সালিশ কেন্দ্রের উদ্বেগ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :