ভরা মৌসুমে পেঁয়াজের দাম নিয়ে চাষিদের শঙ্কা
গত কয়েক বছরের তুলনায় এ মৌসুমে ফরিদপুর জেলায় পেঁয়াজের আবাদ বেশি হয়েছে। গত বছরের চেয়ে প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে বেশি চাষ করেছেন কৃষক। কিন্তু পেঁয়াজের ভরামৌসুম শুরুর দিকে সরকার বাইরের দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করায় এর দাম নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন চাষিরা।
জেলার চাষিরা জানালেন, এ মৌসুমে পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। তাই মৌসুমের সময় কেজি প্রতি পাইকারি দর ২৫-৩০ টাকা না হলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে তারা।
চাষিদের দাবি, দেশের কৃষককে বাঁচিয়ে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে পেঁয়াজ।
এদিকে জেলার শহরের চকবাজার, হাজী শরীয়াতুল্লাহ বাজার, টেপাখোলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে- পেঁয়াজ কেজি প্রতি খুচরা বিক্রয় হচ্ছে প্রকার ভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে।
ফরিদপুরের কানাইপুর কাচা বাজারের ইজারাদার সেলিম মাতুব্বর জানান, এখন পেঁয়াজের ভরা মৌসুম। চাষিরা প্রচুর পেঁয়াজ বাজারের আনছে। এখন তো বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, যখন চাষিদের হাতে পেঁয়াজ থাকবে না তখন আমদানি করলে উপকার আসবে।
ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানালেন, এ মৌসুমে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে। কিন্তু চাষিরা পেঁয়াজের ভালো দাম পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পাঁচ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ করেছে।
তিনি জানালেন, জেলায় এবার পেঁয়াজ উৎপাদন হবে পাঁচ লক্ষ মেট্রিক টন ।
(ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/এলএ)