কবিতা

সে স্বীয় অস্তিত্বে অনড়

মুহাম্মাদ নুরনবী
 | প্রকাশিত : ১৬ মার্চ ২০২০, ১১:৪০

যখন আমি জোৎস্নাপ্লাবিত রাতে

তাকায় ওই সুন্দর আকাশ পানে,

মনে হয় এতো নীলিমা নয়

আরে এ যে আমার বাংলাদেশ !

আর দেশরূপ সেই আকাশের বুকে

দাঁড়িয়ে এক চাঁদ

তার চারদিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তারা

কেউ অসহায়, কেউ বা পথহারা।

চাঁদটি তার চারপাশের তারাগুলোকে

করছে আহ্বান ,এসো,এসো

আমরা আমাদের এই ক্ষুদ্র আলো নিয়েই এগোয়,

এগোয় ওই দূরের কালো মেঘকে রুখে দিতে।

নাহলে ওরা ঢেকে দেবে,ঢেকে দেবে

এ সোনার দেশকে,

অন্ধকারের চাদরে ঢেকে দেবে এদেশের মানুষকে।

এসো আমরা আমাদের এই ক্ষুদ্র আলোতেই

ঘুচাব অন্ধকার ,কিছুতেই ওই কালো মেঘকে

দেব না, দেব না এদেশ।

অবশেষে সাড়া দিয়ে চাঁদের ডাকে

যার যা আছে তাই নিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে

সকলেই গেলো এগিয়ে,রুখে দিল

সেই কালো মেঘের দলকে।

জয় হলো অবশেষে জয় পেলো,

জয় হলো চাঁদের অনুসারীদের।

এরপর সেই মুক্ত আকাশের বুকে

এক গভীর নিশীথে,হানা দিল

ঘুমিয়ে থাকা চাঁদকে ঢেকে দিতে

হানা দিল সেই কালোমেঘ।

কাপুরুষিত স্বভাবে তারা ছিনিয়ে নিল

ছিনিয়ে নিল চাঁদের বহিরস্তিত্ব।

কিন্তু চাঁদ জিতে গেল,চাঁদেরই জয় হলো

তাই বলে সে মেঘ পারেনি

ঢেকে দিতে এদেশকে, কারণ

চাঁদ যে তার আলোটুকু সব নক্ষত্রকে দিয়েছে

আজো বেঁচে আছে সেই চাঁদ।

বেচে আছে নক্ষত্রগুলোর মাঝে

সে অমর,সে অমর

সে স্বীয় অস্তিত্বে অনড়।

লেখক: শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :