ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পোস্ট অফিসের কার্যক্রম
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানার পাশে উপজেলা পোস্ট অফিস ভবনটি প্রায় এক যুগ ধরে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। ছাদ থেকে নিয়মিত খসে পড়ছে পলেস্তরা। ভাঙা দরজা-জানালা। বর্ষায় ছাদ চুয়ে বৃষ্টির পানিতে মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হয়। ভবনটিতে ওয়্যারিং করতে না পারায় বৈদ্যুতিক তারগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এতে যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া ভবনটি থেকে নিয়মিত পলেস্তরা খসে পড়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। পোস্ট মাস্টারের আবাসিক ভবনটিও জরাজীর্ণ।
পোস্ট অফিসটির মাধ্যমে প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব আয় এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সেবা পরিচালিত হয়। উপজেলা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে অফিসিয়াল, ব্যবসায়িক চিঠিপত্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশ্নপত্র, পরীক্ষার কাগজপত্র পাঠানো, বেকার যুবকদের চাকরির ইন্টারভিউ কার্ড পৌঁছানোসহ মোবাইল মানি অর্ডার ও সাধারণ মানি অর্ডারের সেবা দেয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবনের মেঝে মাটিতে দেবে গেছে। ভবনের ভেতরে-বাইরে শ্যাওলা জমে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ এবং ছাদ চুয়ে পানি পড়ছে। বিদ্যুতের তারগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। কাজের কোনো পরিবেশ নেই। পোস্ট মাস্টারের আবাসিক ভবনটিও ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় গত প্রায় এক যুগ থেকে ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এছাড়াও পোস্ট অফিসটিতে রয়েছে কর্মচারী সংকট। দীর্ঘদিন ধরে পোস্ট অফিসটিতে দুজন পোস্টম্যান ও একজন প্যাকার পদ শূন্য রয়েছে।
উপজেলা পোস্টমাস্টার অসীম কুমার বণিক বলেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভবন ধসের আশঙ্কায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত কাজ করতে হচ্ছে এবং গ্রাহকেরা পোস্ট অফিসে আসতেও ভয় পান। ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং করা যাচ্ছে না। ফলে বিদ্যুতের তারগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। ভবনটির দরজা-জানালা না থাকায় নিরাপত্তাহীন অবস্থায় কাজ করতে হচ্ছে। এছাড়া কর্মচারী সঙ্কটে অতিরিক্ত কাজ করতে হচ্ছে।
ফরিদপুর ডেপটি পোস্টমাস্টার জেনারেল মহাসিন উদ্দিন জানান, জরাজীর্ণ ভবনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আশা করছি জরাজীর্ণ ভবনটি অপসারণ করে নতুন ভবন তৈরি করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/কেএম/এলএ)