‘দেশে কেমন গণতন্ত্র চলছে, মানুষ তা জানে’

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ মার্চ ২০২০, ২২:৫০

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘দেশে এখন কেমন গণতন্ত্র চলছে, প্রত্যেকটা মানুষ তা জানে এবং বোঝে। মানুষ কেবল ভোটের অধিকার নয়, কথা বলার অধিকারও হারিয়ে ফেলেছে। খালেদা জিয়ার নির্দেশ অনুযায়ী দলকে আরও বেশি সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’

সোমবার দুপুরে দলের প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল শেষে সেলিমা রহমান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পাচুরিয়া গ্রামে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

সেলিমা রহমান বলেন, এই ফ্যাসিবাদী সরকার বিনা অপরাধে কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্তি এবং সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এ দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করা হবে।

সেলিমা রহমান বলেন, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে একজন নিবেদিতপ্রাণ। তিনি শুধু বিএনপির নয়, জাতির সংকটময় মুহূর্তে অত্যন্ত ধৈর্য, প্রজ্ঞা ও সাহসের সঙ্গে সমস্যা মোকাবেলা করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকার, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জনগণের মুক্তির সংগ্রামে তিনি রেখেছেন অসামান্য অবদান। তার এই অবদান দল ও দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

এর আগে সেলিমা রহমান প্রয়াত মহাসচিবের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বিএনপি নেত্রী শিরীন সুলতানা, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহপ্রচার সম্পাদক শামীমুজ্জামান, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী হাবিব হাসান, সহসাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, প্রয়াত মহাসচিবের দুই সন্তান খোন্দকার আকবর হোসেন ও খোন্দকার আবদুল হামিদসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

২০১১ সালের ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ঘিওরের পাচুরিয়া গ্রামে ১৯৩৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ভাষাআন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ভাষা আন্দোলনের জন্য তিনি একুশে পদক পান।

মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে খোন্দকার দেলোয়ার পাঁচবার সাংসদ নির্বাচিত হন। একাধিকবার চিফ হুইপ ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দলের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :