শরীয়তপুরে হোম কোয়ারান্টাইন শেষ করলেন ৩৩ জন

প্রকাশ | ১৭ মার্চ ২০২০, ১৮:৪৫ | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২০, ২০:০৫

শরীয়তপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বেড়ে চলছে শরীয়তপুরে ফিরে আসা প্রবাসীর সংখ্যা। আতঙ্কে রয়েছেন শরীয়তপুরবাসী। প্রবাসীসহ করোনা সন্দেহে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ২৪৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৪ দিন পার হওয়ার আজ ৩৩ জন শেষ করেছেন। এখন তারা সাধারণ মানুষের মত চলা ফেরা করতে পারবেন বলে জানান সিভিল সার্জন। এর ফলে শরীয়তপুরে হোম কোয়ারান্টাইনের সংখ্যা ২১০ জন রয়েছে। সরকারি বেসরকারি ভাবে মানুষের মাঝে জেলা পর্যায় চলছে সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ। কোয়ারেন্টাইন আইন না মানায় একজনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

 
শরীয়তপুর সিভিলি সার্জন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুরে জেলার মানুষ বেশিরভাগ ইতালির প্রবাসী হওয়ায় জেলার মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। যারা বিদেশ থেকে আসছেন তাদেরকে পাঠানো হচ্ছে হোমকোয়ারান্টাইনে। হোম কোয়ারেন্টাইন না মানায় শরীয়তপুর সদর উজেলার কানার বাজার এলাকার সৌদি প্রবাসি লিটন বেপারি নামে একজনকে ৫হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অন্যদিকে সেবা দিতে সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে ও ৫ শয্যার আইসোলেশন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছেন শরীয়তপুর চিকিৎসক ও সেবিকারাও। করোনার সেবাদানে একজন চিকিৎসক ঢাকা থেকে  প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। তার মাধ্যমে জেলার স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষন দেওয়া হবে।

জেলার নড়িয়া উপজেলার নজরুল ইসলাম (৩৮) বলেন, শুনেছি ইতালির অবস্থা খুবই খারাপ। আমার আপন ভাই ভাবিসহ প্রায় ২০ জন স্বজন ইতালিতে অবস্থান করছেন। তাদেরকে নিয়ে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি। এদিকে ইতালি থেকে অনেকেই দেশে ফিরে এসেছেন। তাদের অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। আবার কেউ কেউ এলাকায় ও বাজারে ঘোরা ফেরা করছেন।

নড়িয়া উপজেলার নশানস এলাকায় সম্প্রতি ইতালি থেকে আসা এক ব্যক্তি বলেন, আমি অনেক বছর যাবৎ ইতালিতে থাকি। কিন্তু ইতালিতে করোনা ভাইরাসে অনেক লোক আক্রান্ত হয়েছেন। আমি সুস্থ্য আছি। তাই দেশে ফিরে  এসেছি।

শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. এস.এম. আব্দুল্লাহ্ আল মুরাদ বলেন, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঁচ শয্যার ও প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ শয্যার করে আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য জেলায় ১০০ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ২৪৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৪ দিন পার হওয়ার পর ৩৩ জনকে কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ২১০ কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

ঢাকাটাইম/১৭মার্চ/ইএস