রাজৈরে কবি আবুল হোসেন মিয়ার ‘বাড়ি বেদখল’

প্রকাশ | ১৮ মার্চ ২০২০, ২০:৩২

রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মাদারীপুরের রাজৈরে শিশু সাহিত্যিক, সাম্য ও শান্তির কবি আবুল হোসেন মিয়ার বাড়ির অংশবিশেষ দখলের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেশীরা সেখানে পাকা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ কবিপুত্র আফজাল হোসেন মিয়ার। বুধবার জমির মালিকানার সত্যতা যাচাই করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে প্রতিপক্ষ তা না মেনে আদালতে যাওয়ার হুমকি দেয়।

কবির মৃত্যুর পর তার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী পৈত্রিক ভিটা রাজৈর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কুঠিবাড়িতে অবস্থিত এ বাড়িটিতে বংশ পরম্পরায় তার সন্তানরা বসবাস করে আসছেন।

কবিপুত্র আফজাল হোসেনের লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, কবি আবুল হোসেন মিয়ার প্রতিবেশী হামেদ হাওলাদার ও মিকাইল হাওলাদার প্রভাবশালীদের সহায়তায় তার বাড়ির পশ্চিমাংশের প্রায় সাত শতাংশ জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন। কবির সন্তানরা বাধা দিলেও ভবনের নির্মাণ প্রক্রিয়া থেমে থাকেনি। এরমধ্যে সীমানা নির্ধারণের জন্য রাজৈর পৌরসভার মেয়রকে দিয়ে কবির ছেলে আফজাল হোসেন মিয়ার নামে একটি নোটিস করিয়ে নেন দখলকারীরা।

পরে পৌর মেয়র আমিন দিয়ে ওই জমি পরিমাপ করান। পরিমাপে প্রমাণিত হয় জমিটি কবি আবুল হোসেন মিয়ার। এরপর তিনি প্রতিপক্ষকে ওই জমিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও তারা নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখেন।

আফজাল হোসেনের অভিযোগ, এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসন, উপজেলার চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারে ঘুরেও কোনো প্রতিকার পাননি। উপায়া না পেয়ে গত ১৯ জানুয়ারি মাদারীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারা জারির জন্য মামলা করেন।

আদালত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য রাজৈর থানা এবং উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দিলে এতেও কোনো কাজ হয়নি।

পরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ন্যায় বিচারের জন্য মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত এর কোনো সুফল পাননি বলে জানান তিনি আফজাল হোসেন।

সর্বশেষ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বদরুল আলম মোল¬া কাছে আবেদন করলে তিনি গত ২২ ফেব্রুয়ারি থানার পরিদর্শক (এসআই) শাহীন সরদারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বদরুল আলম মোল¬া বিষয়টি সুরাহার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হামেদ হাওলাদার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

(ঢাকাটাইমস/১৮মার্চ/পিএল/এলএ)