ভারত থেকে আনা ‘ভক্ষণ অযোগ্য’ ৫০ মণ মাংস জব্দ
ভারত থেকে আনা ৫০ মন মাংস জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব। জব্দ করা এই মাংস নিয়ে দেখা দিয়েছে সন্দেহ। মহিষের দেখিয়ে আনা এই মাংস অন্য কোনো প্রাণীর বলে ধারনা র্যাবের। ক্ষতিকর ছত্রাক পড়ায় মাংসগুলো ভক্ষণযোগ্য কিনা তা পরীক্ষা করা হবে।
র্যাব জানায়, বুধবার দিবাগত রাতে গাবতলীর মিথিলা পরিবহন নামের একটি একটি বাসে করে রংপুরে পাঠানোর সময় ১৪৮ কেজি মাংস জব্দ করা হয়। পরে ওই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার মিরপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে একটি গোডাউন থেকে আরো ১ হাজার ৮৫০ কেজি মাংস জব্দ করা হয়।
অসাধু একটি চক্র খাওয়ার অযোগ্য মাংস বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সুপারশপে এবং রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন জেলা শহরে প্রেরণ করে ভোক্তাদের ঠকিয়ে আসছিল।
র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-২) মেজর এইচ এম পারভেজ আরেফিনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান।
মেজর এইচ এম পারভেজ আরেফিন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে ভারত থেকে আমদানি করা মহিষের মাংস রংপুরে পাঠানো হচ্ছে। খাওয়ার অযোগ্য এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হয়েছে এই মাংস।
তিনি বলেন, ‘গাবতলী বাস টার্মিনালে প্রথমে অভিযান চালিয়ে ১৪৮ কেজি মাংস জব্দ করা হয়। জব্দ হওয়া মাংসের প্যাকেটের গায়ে বাফেলো লেখা থাকলেও মাংস নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। পরে মিরপুর-১১ নম্বরের তালাব বিহারী পল্লী মাংসের গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। সেখানে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ১ হাজার ৮৫০ কেজি মাংস জব্দ করা হয়।’
র্যাবের ভাষ্য, মাংসগুলো যেভাবে রাখা হয়েছিল তাতে গুণগত মান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া রান্নার পর এই মাংসের কারণে শরীরে নানা রোগবালাই দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ফুড পয়জনিং, অ্যানথ্রাক্স, ক্যান্সার, রেবিসসহ মারাত্মক রোগের সম্ভাবনা রয়েছে। চক্রটি খাবার অযোগ্য এই মাংস বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সুপার শপ ছাড়াও জেলা শহরগুলোতে পাঠাতো।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি এই ব্যবসা করে আসছিল। তারা ভারতের আলানা নামক একটি কোম্পানি থেকে মাংস আমদানি করে থাকে। এই মাংসের গুণগতমান বিষয়ে কোন সার্টিফিকেট ছিল না। এছাড়া আমদানি ইনভয়েসের কোনো ভাউচার কিংবা রেজিস্টার পাওয়া যায়নি। অভিযানে গ্রেপ্তার দুইজনকে চার লাখ টাকা জরিমানা এবং তিনমাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৯মার্চ/এসএস/ডিএম)