রাজবাড়ীতে নিত্যপণ্য কেনার হিড়িক, বেড়েছে দাম

রাজবাড়ী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২০ মার্চ ২০২০, ১৬:১৯ | প্রকাশিত : ২০ মার্চ ২০২০, ১৫:২৭

রাজবাড়ীতে হঠাৎ করনা ভাইরাস আতঙ্কে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বিক্রির হিড়িক পরেছে। সেইসঙ্গে বেড়ে গেছে নানা পণ্যের বাজার দর। যেখানে তিন দিন আগে প্রয়োজনীয় নিত্য পণ্যসামগ্রী স্বাভাবিক দরে বিক্রি হয়েছে সেখানে বাজারে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, রসুন, আলুসহ বেশিরভাগ জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা থেকে ১০ টাকা।

প্রতি কেজি মোটা ও চিকন চাল চার টাকা থেকে ছয় টাকা কেজিতে বেড়েছে। মোটা চাল যেখানে ৩০ টাকায় বিক্রি হত সেখানে বাজারে মানুষের ভিড় ও বিক্রি বাড়ায় দোকানিরা প্রতি কেজি চালের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন ৩৫-৩৬ টাকায়। আর বস্তা প্রতি চাল দেড়শ থেকে দুইশত টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে পেঁয়াজ রসুন, আলু চিনি, ডালসহ সব ধরনের নিত্য পণ্য কেজি প্রতি ১০-১২ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।

দোকানিরা বলছেন বাজারে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ক্রেতারা সব ধরনের পণ্যই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি করে কিনে নিচ্ছেন। যার প্রয়োজন ১০ কেজি তিনি কিনছেন এক বস্তা বা দুই বস্তা। দুই দিন আগেও এসব পণ্য স্বাভাবিকভাবে বিক্রি হতো। দুই দিনে বিক্রি বেড়ে গেছে দ্বিগুণ। তারা আরও বলেন চালের দাম বেশি হওয়ার কারণ বাজারে বিক্রি বেড়ে যাওয়া এবং মিলাররা প্রতি বস্তায় চালের দাম বাড়ানোর কারণে খুচরা দোকানিরা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, করোনা আতঙ্কে তারা বাজার বন্ধ হওয়ার ভয়ে বেশি করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনছেন। বাজারে বিক্রির ভিড়ের কারণে সব ধরনের পণ্যের দামও বেশি নেয়া হচ্ছে। তারা চাচ্ছেন বাজারে যেন প্রশাসনের নজর রাখা হয়, যাতে কোনো পণ্যের দাম বেশি বা মজুদ করে দাম বাড়াতে না পারে ব্যবসায়ীরা।

খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ বলছেন, বাজারের সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ানোর কারণে তারা পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। প্রতি কেজি পেঁয়াজ তিন দিন আগে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। বাজারের এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ক্রেতা সাধারণ।

১০৫ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে

গত ১৯ দিনে বিভিন্ন দেশ থেকে রাজবাড়ীতে ঢুকেছেন ১ হাজার ৭৮৭ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রবেশ করেছে ৬২ জন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩০ জনসহ শুক্রবার পর্যন্ত ১০৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষে মুক্ত হয়েছেন। এছাড়া করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঁচটি বেড রাখা হয়েছে।

এদিকে, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা না মানায় দুজনকে ১০ হাজার টাকা করে এবং একজনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া কোচিং সেন্টার পরিচালনা করায় একজন শিক্ষককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :