হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বাড়িতে লাল পতাকা

মাগুরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ মার্চ ২০২০, ২০:১৩ | প্রকাশিত : ২২ মার্চ ২০২০, ২০:০৯

মাগুরায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পরিবার, সমাজ ও দেশের সুরক্ষার স্বার্থে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়েছে। গত শনিবার বিকাল থেকে সদর উপজেলার জগদল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এই কার্যক্রম চালানো হয়।

এদিকে রবিবার পর্যন্ত জেলায় মোট ১৮৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টানে রাখা হয়েছে।

সদর উপজেলার জগদল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ রফিকুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিনে এ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ওমান, আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর এবং ইন্ডিয়া থেকে ২৬ জন এসেছে। তাদের প্রত্যেককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার পাশাপাশি প্রত্যেকের বাড়ির সামনে গত শনিবার বিকাল থেকে এ লাল পতাকা টানানো শুরু হয়েছে। এতে করে ওই পরিবারসহ স্থানীয়রা সতর্কতা অবলম্বন করার সুযোগ পাবে। এছাড়া ওই সব বাড়ির সামনে গ্রাম পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে।

সিভিল সার্জন প্রদীপ কুমার সাহা জানান, রবিবার নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে ২২ জনকে। এ নিয়ে জেলায় মোট ১৮৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টানে রাখা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ১৪ দিন করে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন নির্দেশনা পালনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া করোনা প্রতিরোধে মাগুরায় একটি ও তিন উপজেলায় তিনটি হোম কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একইভাবে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ২০ বেডের ও তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম জানান, যারা বিদেশ থেকে মাগুরায় এসেছেন তারা হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়ে কথা না শুনলে তাদের বাড়িতে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তরা করোনা প্রতিরোধে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করায় বিষয়টি নিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে মাগুরায় সব ধরনের সভা, সেমিনার, মিটিং, সামাজিক অনুষ্ঠান, গণজমায়েত, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সকল প্রকার কমিউনিটি সেন্টার, পার্টি সেন্টার ও কোচিং সেন্টার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান গ্রাম ও শহরের সকল দোকান থেকে উন্মুক্ত টিভি ও বসার বেঞ্চ সরিয়ে ফেলার অনুরোধ জানিয়েছেন। করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে জেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে নিয়মিত প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের পাশপাশি প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা টানানোর জন্য বলা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে অহেতুক কোন জিনিসের দাম বাড়াতে না পারে সে বিষয়েও নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২২মার্চ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :