মানুষ বাঁচাতে এখনই ফান্ড গঠন করতে হবে: আতিউর

রহমান আজিজ, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২০, ১১:১৫ | প্রকাশিত : ২৩ মার্চ ২০২০, ০৮:১৭

করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বে আর্থিক মন্দা শুরু হয়েছে। এটি কাটাতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে বিশ্ব অর্থনীতিবিদদের ধারণা। বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোও তাদের অনেক সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সর্বাগ্রে মানুষ বাঁচাতে এখনই ফান্ড গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এ জন্য প্রয়োজনে বাজেট কাটছাঁটের পরামর্শ দিয়েছেন এই অর্থনীতিবিদ।

গতকাল একান্ত সাক্ষাৎকারে ঢাকা টাইমসকে আতিউর রহমান জানান, দেশের আর্থিক খাত সুরক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সেগুলো স্বাগত জানানোর মতো। তবে প্রথম করণীয় হচ্ছে দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সব ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। বিশেষ করে সিএসআর ফান্ডের (সামাজিক দ্বায়বদ্ধতার আওতা) বাড়াতে হবে।

আতিউর বলেন, ‘২০০৭-২০০৮ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্ধা দেখা গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে উদ্যোগগুলো নিয়েছিল সেটি নিতে হবে। সেসময় সিএসআর ফান্ড ৫০ থেকে ৬০০ কোটিতে উন্নীত করা হয়।’

সাবেক এ গভর্নর বলেন, সরকারকে বাজেট কাটছাঁট করতে হবে। বাজেটে স্বাস্থ্য ও মানবিক কাজে নজর দিতে হবে। রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিয়েছেন। সেটি হয়তো আমাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়, তবে সস্তায় সবার কাছে খাবার পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে।’

আতিউর বলেন, ‘সিএসআর এর অর্থ ব্যাংক সরাসরি যেতে না পারলে স্থানীয় শাখা বা সংগঠনের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। এ ছাড়া ডাক্তারদেরও বাঁচাতে হবে। এ জন্য সিএসআর থেকে ডাক্তারদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিতে পারে। আবার এগুলো যে কোম্পানি উৎপাদন করে তাদের স্বল্প সুদে ঋণও দেয়া যেতে পারে।’

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় যেন আর্থিক খাত সংকটে না পড়ে সেজন্য কয়েকটি পরামর্শও দিয়েছেন আতিউর রহমান। প্রথমত, তারল্য সংকট মোকাবেলায় সিআরআর কমাতে হবে। দ্বিতীয়ত, বন্ড কিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকা বাজারে ছাড়াতে পারে। তৃতীয়ত, মনিটারি পলিসি শিথিল করতে হবে। চতুর্থত, ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কিনতে হবে, এটি ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক করেছে এবং অব্যাহত রাখতে হবে। পঞ্চম, রেপোর সুদহার কমানো এবং সময়সীমা বাড়িয়ে ন্যূনতম ৬ মাস করা।

এ ছাড়া অর্থসংস্থানের জন্য সরকারের প্রতি আরও দুটি পরামর্শ দিয়েছেন এই অর্থনীতিবিদ। এর একটি হলো, ২০১৯-২০ অর্থবছরের নির্ধারিত বাজেটের কাটছাঁট করা। বা বেশি প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড়া স্বল্প প্রয়োজনীয় অর্থ খরচ আপাতত বন্ধ করা।

তার অন্য পরামর্শটি হলো, ১ শতাংশ জিডিপি অর্থাৎ ২৫ হাজার কোটি টাকা। এর সমান অর্থ কেন্দ্রীয় বা বাণিজ্যক ব্যাংক থেকে ৫ থেকে ১৫ বছর মেয়াদি ঋণ নিয়ে স্বাস্থ্য ও মানবিক খাতে খরচ করা।

এ ছাড়া করোনার প্রভাবে ক্লান্তিকালীন সময় পার করে দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে এসএমই, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, কৃষি ঋণের দিকে বেশি নজর দিতে হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেছেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৩মার্চ/আরএ/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সাক্ষাৎকার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সাক্ষাৎকার এর সর্বশেষ

প্রতি মুহূর্তেই মনে হচ্ছিল আর্মিরা ধরে নিয়ে যাবে: ফরিদা খানম সাকি

দাম বাড়ালে এতক্ষণে কার্যকর হয়ে যেত: ক্যাব সহ-সভাপতি নাজের হোসাইন

জন্ম থেকেই নারীদের যুদ্ধ শুরু হয়: নারী উদ্যোক্তা ফরিদা আশা

নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই

ভবন নির্মাণে সিটি করপোরেশনের ছাড়পত্র নেওয়ার নিয়ম করা উচিত: কাউন্সিলর আবুল বাশার

তদারকি সংস্থা এবং ভবন নির্মাতাদের দায়িত্বশীল হতে হবে: অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান

বেইলি রোডের আগুনে রাজউকের ঘাটতি রয়েছে: মো. আশরাফুল ইসলাম

নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে ভবন অনুমোদন দিতে হবে: ইকবাল হাবিব

বীমা খাতে আস্থা ফেরাতে কাজ করছি: আইডিআরএ চেয়ারম্যান জয়নুল বারী

ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে কিছু জঙ্গি সংগঠন মাথাচাড়া দিতে চায়

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :