দেরিতে হলেও সরকার বুঝতে পেরেছে: ফখরুল
বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা এবং মাঠ প্রশাসনের সহযোগিতায় সশস্ত্র বাহিনী নামানোর সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, সরকার দেরিতে হলেও করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে সক্ষম হয়েছে। তবে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো যে ভালোভাবে বাস্তবায়ন হয় সে ব্যাপারে সরকারকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ফেসবুক লাইভে ফখরুল এসব কথা বলেন। এ সময় সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
ফখরুল বলেন, ‘দেরিতে হলেও আমি মনে করি যে, তারা বুঝতে পেরেছেন। বিলম্বে হলেও সরকার যে কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এখন এটাকে যেন নিবিড়ভাবে পরিচালনা করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
তবে সরকারের মন্ত্রীদের বিভিন্ন বক্তব্যের সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, ‘তাদের মন্ত্রীরা এমন এমন উক্তি করেছেন যা মানুষের এই আতঙ্কের মধ্যেও একটা উষ্মা ও খেদের সৃষ্টি করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী গতকালও বলেছেন, তারা তিন মাস আগে থেকে প্রস্তুত ছিলেন, যার কোনো নজির আমরা দেখতে পাচ্ছি না।’
ফখরুল বলেন, ‘সরকার এই পর্যন্ত বলছে ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। পরীক্ষা করার জায়গা তো শুধু একটা, আইইডিসিআর। সেই জায়গায় সবাই পরীক্ষা করতেও পারছেন না। যার ফলে কতজন ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন, কতজন এর দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন সেটার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান আমরা পাচ্ছি না।’
করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধি, চিকিৎসক-নার্সদের প্রশিক্ষণ, তাদের জন্য বিশেষ পোশাক ও পর্যাপ্ত কিট সরবরাহের দাবি জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আমাদের তরফ থেকে যতটা সম্ভব অথোরিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে যেন সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ রাখা হয় তার জন্য বলেছি এবং তারা আমাদেরকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে সেটা তারা করছেন।’
বিএনপির সব কর্মসূচি বাতিলের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদেরকে জানাতে চাই যে, আমাদের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সারাদেশের দলের সকল কর্মসূচি আমরা বাতিল করেছি। কোনো রকমের জনসমাবেশ-সমাবেশ যেন না হয় তার জন্য নেতা-কর্মীদেরকে দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
(ঢাকাটাইমস/২৩মার্চ/জেবি)