ছুটির দিনে ক্ষুদে শিক্ষার্থীর শিক্ষক যখন মা

তানিয়া আক্তার, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২০, ১৬:৫২ | প্রকাশিত : ২৪ মার্চ ২০২০, ১৬:৩৮

দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। ছুটির এই দিনগুলোতে ক্ষুদে শিক্ষার্থীর শিক্ষক তার মা। মায়েদের মোবাইলের ক্ষুদে বার্তানুযায়ী পড়াশোনা করবে শিশু। এছাড়া ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নিবিড় পরিচর্যায় পাঠদানের পরিকল্পনাও রয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের।

মঙ্গলবার দেশের সব জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নানা নির্দেশনা দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন।

প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিকের মতো তাদের কোনো একটা মাধ্যমে ক্লাস দেখিয়ে দিলেই চলে না। খুদে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখাতে হয়। তাই প্রয়োজন বিশেষ ব্যবস্থায় শিক্ষা।

সচিব আকরাম আল হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, 'প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা তো শিশু। তাদেরকে মাধ্যমিকের মত একটা ক্লাস দেখিয়ে দিলেই চলবে না। তাদেরকে অক্ষর বর্ণ শব্দ এগুলো ধরে ধরে শেখাতে হয়। তাই পঠদানের অংশটির জন্য বিশেষ পদ্ধতির প্রয়োজন পড়বে। নিবিড় পরিচর্যায় খুদে শিক্ষার্থীদের শেখানোর জন্য চেষ্টা করছি।

মায়ের সাহচর্যৈই সন্তান সুশিক্ষায় বুনিয়াদ গড়ে উঠতে পারে। তাই বন্ধের দিনগুলোতে মা যেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকের মতো দায়িত্ব নিতে পারেন সেজন্য তাদের মুঠোফোনে পাঠানো হবে খুদেবার্তা।

প্রাথমিকের সচিব বলেন, 'মা হলেন প্রথম শিক্ষক। তাই আমরা চেষ্টা করছি প্রতিটা মায়ের কাছে পৌঁছাতে। ফলে ছুটি মানেই যে পড়ালেখা থেকে ছুটি এমন যাতে না হয় সেজন্য দেশের এক কোটি ৩৭ লাখ শিক্ষার্থীর মায়েদের মোবাইলে একটি ইউনিক এসএমএস পাঠানো হবে।'

এর মাধ্যমে এ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে যা পড়ানো হয়েছে, যা পড়ানোর কথা ছিল তা বন্ধের মধ্যে মায়েদের তত্ত্বাবধানে ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে বলা হবে। এই এসএমএসটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়া সংসদ টেলিভিশনে সিলেবাস অনুযায়ী শ্রেণি পাঠের ক্লাস সম্প্রচার করা হবে। তবে যাদের বাসায় টিভি নেই তারা কীভাবে পড়াশোনা করবেন সেই বিষয়টি ভেবে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সচিব বলেন, ' সবার ঘরে তো টিভি নেই। তাহলে তারা শিখবে কীভাবে। তারাও তো ঘরেই বন্দি। তাই টিভির পাশাপাশি রেডিওতেও এই পাঠদান সম্প্রচার করব। এছাড়া একটা ডিভাইস বা এর বিকল্প কি হতে পারে পাঠদানের ক্ষেত্রে তা নিয়ে পরিকল্পনার জন্যএটুআইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।'

পাঠদানের এই পুরো বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের। মুঠোফোনে সারাক্ষণ যোগাযোগ করবেন মায়েদের সঙ্গে।

(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/টিএটি/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :