করোনা মোকাবেলায় রুপালী ব্যাংকের যত উদ্যোগ

প্রকাশ | ২৪ মার্চ ২০২০, ১৯:২৮

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পৃথিবী জুড়ে করোনা ভাইরাস (কোভিড) ১৯ মহামারী আকারে রুপ নিয়েছে। বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধ এবং এতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সাধারন অথচ কার্যকর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা রয়েছে। এসব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অনুসরনের মাধ্যমে রুপালী ব্যাংকের সকল পর্যায়ে করোনা বিস্তার প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে আশা করেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এজন্য বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করে সকল শাখা, জোনাল অফিস, নিরীক্ষা ও পরিদর্শন টীম, আরবিটিএ, স্থানীয় কার্যালয় এবং বিভাগীয় প্রধানদের চিঠি দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (উপ-মহাব্যবস্থাপক) মেজর (অব:) খন্দকার মুকিত আল মাহমুদ  এবং মহাব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা তুালে ধরে বলা হয়।

চিঠিতে যেসব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে ১. করোনা ভাইরাস একটি বৃহৎ আকৃতির ভাইরাস। এর সেল ডায়ামিটার ৪০০ থেকে ৫০০ মাইক্রো। এ কারনে যে কোন ধরনের মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমে করেনা থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব। সবইকে ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করা হলো।

২. করোনা ভাইরাস আয়তনে বড় হওয়ায় বাতাসে ছড়ায় না। মাটিতে , টেবিলে , চেয়ারে , সিঁড়ির হাতলে এবং টাকার বান্ডিলের মাধ্যমে ছড়ায়। নিয়ম করে সবান দিয়ে হাত ধোয়ার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্বব ।

৩.ব্যাংকের যে সকল কর্মকর্তা/ কর্মচারি ক্যাশ কাউন্টারে কাজ করেন এবং যাদের  নিয়মিত টাকা /ঢাকার বান্ডিলের সাথে সম্পক্তিত কাজ করতে হয় তারা টাকা গননার সময় এবং হাত না ধয়ে মুখে হাত দিবেন না।মুখের লালা ব্যবহার করে টাকা গননা কোনভাবেই করা যাবেনা। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

৪. ক্যাশে কর্মবত কর্মকর্তা/ কর্মচারীগন কাজের সময়কালীন সময়ে নাক পরিস্কার করা /নাক খোটা এবং চোখ পরিস্কার করা থেকে বিরত থাকবেন।

৫.ক্যাশে কর্মকত কর্মকর্তা/কর্মচারীগন হাত সাবান দিয়ে ভাল করে না ধুয়ে কোন খাবার/ ফল খাবেন না। জরুবী প্রয়োজনে চামচ/কাটা চামচ ব্যবহার করতে পারেন।

৬.ব্যাংকের ভিতরে হাঁচি/ কাশি দেওয়ার সময় সকলেকে টিস্যু ব্যবহারে উৎসাহিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো। টিস্যু হাতের কাছে না থাকলে কনুই দিয়ে মুখ টেকে হাঁচি/কাশি দিতে পরামর্শ প্রদান কর হলো।

৭.ব্যাংকের সকল পর্যয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা ভাইরাসের প্রকোপ না কমা পর্যন্ত পশুর বাজার এড়িয়ে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো।

৮.ব্যাংকের টয়লেট সমূহে পর্যপ্ত সাবান/হ্যান্ডওয়াশ /হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শাখা ব্যবস্থাপক/বিভাগীয় প্রধানদের অনুরোধ করা হলো।

৯.প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ক্যাশ কাউন্টারে কর্মরত কর্মকর্তাদের হাতে গ্লোভস ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হলো।

১০ . ব্যাংকে আগত পরিচিত-অপরিচিত উভয় প্রকার ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে হাত না মিলিয়ে সালাম প্রদানের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হলো।

১১. ব্যাংকের বাইরে থেকে আগত সকল ব্যাক্তি/ গ্রাহকদের নিকট থেকে কমপক্ষে তিনফুট দুরত্ব জায় রেখে কর্ম সম্পাদনের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হলো।

১২. করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কোন সন্দেহ দেখা দিলে আইইডিআর এর হটলাইন নাম্বার ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫ নাম্বারে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হলো।

১৩. করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত যে কোন জরুরী প্রয়োজনে নিরাপত্তা বিভাগ কন্ট্রোল রুম ০১৮৭০৭২৩৭৫০, ০২-৯৫৯০৯৯৪ এ যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হলো।

এদিকে উপ মহাব্যবস্থাপক মনোয়ারা পারভীন ও মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত অন্য এক চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে নভেল করোনা বাইরাস বা কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইডিসিআর) এর তথ্যমতে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কোন কার্যকর ওষুধ বা প্রতিষেধক আবিস্কার না হওয়ায় এ রোগ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহন করা জরুরী।  এমতাবস্থায় , এ ব্যাংক কর্মরত কোন কর্মকর্তা/কর্মচারী জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি, কাশিতে আক্রন্ত হলে তার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে বাসায় অবস্থান এবং তাকে বিধি মোতাবেক ছুটি প্রদানের জন্য নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ প্রদান করা হলো।

(ঢাকা টাইমস/ ২৪ মার্চ/ জেআর/ আরএ)