করোনায় আক্রান্ত হলে কী করবেন

প্রকাশ | ২৫ মার্চ ২০২০, ০৮:০২

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

বিদেশ ছাপিয়ে দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। একে মারণব্যাধী বলা হলেও বেশিরভাগ রোগী সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে হবে। ছোয়াচে এই রোগ যে কাউকে আক্রান্ত করতে পারে। তাই জেনে নেয়া দরকার আপনি করোনায় আক্রান্ত হলে কী করবেন?

আপনার শরীরে যদি করোনার লক্ষণ দেখা যায় তবে আইডিসিআরের হট লাইনে ফোন করে আপনার উপসর্গ বলুন। তারা চিকিৎসক পাঠিয়ে আপনার নমুনা সংগ্রহ করবে। এই সময়ে আপনি রিলাক্স থাকুন। আতঙ্কিত হবেন না।

সবার আগে আপনি সেলফ কোয়ারান্টাইনে যান। পরিবারের সকল সদস্যদের থেকে দূরে থাকুন। ফোনে কথা বলুন চিকিৎসকদের সঙ্গে। একান্তই হাসপাতালে যেতে হলে মাস্ক পরে যাবেন। 

পরিবার-পরিজন ও আত্মীয় স্বজনদের জানিয়ে দিন আপনি সেলফ কোয়ারান্টাইনে আছেন। তারা যেনো আপনার বাড়ি, আপনার কক্ষে না আসে। বাড়ির ভেতরে, পরিবারের সদস্যদের থেকে কমপক্ষে ৬ ফুট দূরে থাকুন। বিশেষত বয়স্ক সদস্যদের থেকে সরে থাকুন। কারণ, তারা হাই রিস্ক জোনে রয়েছেন। সমস্ত দরজার হাতল, নব, স্যুইচ এবং আপনার স্পর্শ সমস্ত জিনিস স্যানিটাইজড করুন। করোনা ভাইরাস সম্ভবত ৮ ঘন্টা বেঁচে থাকে।

ব্যবহৃত জিনিস অন্যকে ব্যবহার করতে দেবেন না।। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা কোনও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করা পরামর্শ না মেনে চিকিৎসকদের দেয়া পরামর্শ মেনে চলুন। সোশ্যালে প্রচুর ভুল তথ্য পরিবেশিত হচ্ছে। প্রয়োজনে প্যারাসিটামল খেতে পারেন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে। 

প্রচুর পানি পান করুন। আর বিশ্রাম নিন। এই সময়ে দম চর্চা করতে পারেন। তাহলে আপনার ফুসফুস অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাস পাবে।

এতেই আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যে অনেকটাই সুস্থ বোধ করছেন। উদ্বিগ্ন হবেন না। উদ্বেগ ছড়াবেন না। বেশি বাড়াবাড়ি যেমন শ্বাসকষ্ট শুরু হল তক্ষুণি হাসপাতালে যান। হয়ত ভেন্টিলেটর অক্সিজেনের প্রয়োজন হতে পারে। আপনি যদি বয়স্ক, অসুস্থ বা কমজোরি হন কিংবা আপনার ডায়াবেটিস বা হার্টের অসুখ যদি থাকে তাহলে গাফিলতি করবেন না চিকিৎসায়। দেরি না করে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মনে রাখবেন, করোনা ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক। তাই এমন ভাবে থাকুন যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়। মাস্ক পড়ুন। মুখ ঢেকে হাঁচুন, কাশুন। নাক-মুখ মুছে টিস্যু পেপার বন্ধ ডাস্টবিনে ফেলুন। অনেকটা একসঙ্গে জমলে পুড়িয়ে দিন। নিজে বাঁচুন অন্যকেও বাঁচান। 

এটাও মাথায় রাখবেন, প্রথমত, আপনার করোনা ভাইরাস হওয়ার সুযোগ খুব কম। দ্বিতীয়ত, যদি হয়ও তাহলে সঠিক নিয়ম মানলে একসপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠবেন। তৃতীয়ত, চীনে কিন্তু আর নতুন আক্রান্তের তথ্য নেই। অর্থাৎ, করোনাকেও জয় করা যায়।

(ঢাকাটাইমস/২৫মার্চ/এজেড)