হোম কোয়ারেন্টাইনে না থাকলে যে সাজা

প্রকাশ | ২৫ মার্চ ২০২০, ১৭:২৩ | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২০, ১৮:৩৯

আমিনুল ইসলাম মল্লিক
ঢাকাটাইমস

করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) মোকাবিলায় বিদেশফেরতদের কোয়ারেন্টাইন থাকতে পরামর্শ দেয়া হলেও তারা তা মানছেন না। তাই তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে কোয়ারেন্টাইনে থাকা নিশ্চিত করতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি। একই সঙ্গে সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে লিফলেট বিলি করছেন বাহিনীর সদস্যরা। তারপরও কেউ সরকারের এই নির্দেশ না মানলে রয়েছে শাস্তির বিধান।

জানতে চাইলে ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব ঢাকা টাইমসকে বলেন, এ আইনটির নাম হলো সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮। ২০১৮ সনের ৬১ নং আইন। এই আইনের ২৪ ধারায় বলা হয়েছে, যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি সংক্রামকের তথ্য গোপন করে। সংক্রামক ছড়ায় যার ফলে অন্য কেউ আক্রান্ত হয় তাহলে সে দোষী সাব্যস্ত হবে। তাকে ছয়মাসে কারাদণ্ড অথবা ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

২৫ ধারায় বলা আছে, এই আইনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যাক্তিকে দায়িত্ব পালনের সময় কেউ যদি বাধা প্রদান করে এবং দায়িত্ব পালনকারী ব্যাক্তির আদেশ অমান্য করে তাহলে সেই ব্যক্তিকে ৩ মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। 

২৬ ধারায় বলা আছে কেউ যদি এই সংক্রামক নিয়ে মিথ্যা বা ভুল তথ্য প্রদান করে তাহলে অনুর্ধ দুই মাস কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। 

এই আইনের এ ধারাগুলো  আমল অযোগ্য। মিমাংসা যোগ্য ও জামিন যোগ্য।

ইতোমধ্যে বিদেশ ফেরত ব্যাক্তিদের বিশেষ করে যারা কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন না বা কোয়ারেন্টাইন মানছেন না তাদের খুঁজছে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।

জেলা কমান্ড্যান্ট-এর নেতৃত্বে ফরিদপুর জেলায় ব্যাপকভাবে মাঠে নেমেছে আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা। প্রতিটি ইউনিয়নে আনসার ও ভিডিপির দলনেতা ও দলনেত্রীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদেশ ফেরতে মানুষদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিচ্ছে। যারা হোম কোয়ারেন্টাইন থাকার নিয়ম মানছে না, তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

জেলা কমান্ড্যান্ট সেলিমুজ্জামান জানান, ‘মুজিববর্ষের উদ্দীপন, আনসার ভিডিপি আছে সারাক্ষণ’-এ স্লোগানকে সামনে রেখে সরকারি নির্দেশনা তথা আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালকের নির্দেশনা মোতাবেক আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সকল পর্যায়ের সদস্য করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক সকল প্রকার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন।

তিনি আরো জানান, যারা বিদেশ থেকে এসেছে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। বিদেশফেরতদের বাড়িতে গিয়ে তা মানার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে ও নিশ্চিতকরণে আনসার ও ভিডিপি কাজ করছে। এছাড়া করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গ্রামাঞ্চলসহ সমগ্র জেলায় মোট ৩০ হাজার লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া আনসার সদস্যরা মাস্ক বিতরণ করছে।

এ বিষয় সকলের সহযোগিতা কামনা করে জেলা কমান্ড্যান্ট বলেন, আমরা সবাই সচেতন হলে এবং সহযোগিতা করলে করোনা মোকাবিলা করা সম্ভব।

(ঢাকাটাইমস/২৫মার্চ/এআইএম/এজেড)