শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা

প্রকাশ | ২৫ মার্চ ২০২০, ২১:৪৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি শিল্প উৎপাদন এবং রপ্তানি বাণিজ্যে আঘাত হানতে পারে। এই আঘাত মোকাবিলায় কিছু আপদকালীন ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই তহবিলের অর্থ দ্বারা কেবল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে।

বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই প্রণোদনা ঘোষণা করেন। দীর্ঘ বক্তব্যে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা এবং করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নানা দিকনির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে ব্যবসাবান্ধব বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী জুন মাস পর্যন্ত কোনো গ্রাহককে ঋণখেলাপি না করার ঘোষণা দিয়েছে।

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি আয় আদায়ের সময়সীমা দুই মাস থেকে বৃদ্ধি করে ছয় মাস করা হয়েছে। একইভাবে আমদানি ব্যয় মেটানোর সময়সীমা চার মাস থেকে বৃদ্ধি করে ছয় মাস করা হয়েছে। মোবাইলে ব্যাংকিং-এ আর্থিক লেনদেনের সীমা বাড়ানো হয়েছে।

বিদ্যুৎ, পানি এবং গ্যাস বিল পরিশোধের সময়সীমা সারচার্জ বা জরিমানা ছাড়া জুন মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এনজিওগুলোর ঋণের কিস্তি পরিশোধ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন। আমাদের তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। নিম্ন আয়ের ব্যক্তিদের ‘ঘরে-ফেরা’কর্মসূচির আওতায় নিজ নিজ গ্রামে সহায়তা প্রদান করা হবে। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য বিনামূল্যে ঘর, ছয় মাসের খাদ্য এবং নগদ অর্থ প্রদান করা হবে। জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাসানচরে এক লাখ মানুষের থাকার ও কর্মসংস্থান উপযোগী আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে কেউ যেতে চাইলে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সরকারপ্রধান জানান, বিনামূল্যে ভিজিডি, ভিজিএফ এবং ১০ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। একইভাবে বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসাসেবাও দেওয়া হচ্ছে। নিম্নআয়ের মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

(ঢাকাটাইমস/২৫মার্চ/আরএ/জেবি)