কাবুলের শিখ মন্দিরে হামলা, বহু হতাহত

প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০২০, ০৯:৩৩ | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২০, ০৯:৩৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি শিখ মন্দিরে সশস্ত্র জঙ্গি হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় বলছে, সকালের দিকে একজন বন্দুকধারী মন্দিরে হঠাৎ করে ঢুকে প্রার্থনাকারীদের ওপর গুলি চালাতে শুরু করে।

নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ছয় ঘণ্টা গুলি বিনিময়ের পর বন্দুকধারী নিহত হয়। এর আগে বলা হয়েছিল বেশ কয়েকজন বন্দুকধারী হামলাটি চালিয়েছে। খবর বিবিসির

কাবুলের শোরাবাজার এলাকায় অবস্থিত এই মন্দিরে প্রায় ১৫০ জন মানুষ আটকে গিয়েছিল। ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী (আইএস) দাবী করেছে তারা এই হামলা চালিয়েছে। এর আগেও আইএস শিখ এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। আফগানিস্তানের প্রধান সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান এই হামলার সঙ্গে তাদের কোন সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে।

আফগানিস্তানে আইএস তালেবানের চেয়ে কম শক্তিশালী এবং অনেক এলাকায় তাদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।

বিবিসির সংবাদদাতা সেকান্দার কিরমানি বলছেন, আইএস আমেরিকার সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনার ।অংশ ছিল না এবং এ ধরনের রক্তক্ষয়ী হামলা চালানোর ক্ষমতা তাদের রয়ে গেছে।

আফগান সংসদের শিখ সদস্য আনারকলি কর হোনারইয়া জানান, এই মন্দিরে বেশ কয়েকটি পরিবার বসবাস করেন এবং সেখানে নিয়মিত সকালে প্রার্থনা করা হয়। তখন প্রায় ১৫০ জনের মত মন্দিরে ছিলেন। হামলা শুরু হলে লোকজন তাদের মোবাইল বন্ধ করে লুকানোর চেষ্টা করেন।

আরেকজন শিখ সংসদ সদস্য নারেন্দার সিং খালসা বলেন, তখন মন্দিরে ২০০ জন ছিল। তিনজন আত্মঘাতী হামলাকারী মন্দিরের ধর্মশালায় প্রবেশ করে। বন্দুকধারীরা হামলা শুরু করে এমন এক সময় যখন ধর্মশালা মানুষে ভর্তি ছিল।

আফগানিস্তানের শিখ সম্প্রদায়, যাদের সংখ্যা কমে এখন মাত্র দশ হাজারে নেমেছে, অনেক দিন ধরেই অভিযোগ করে এসেছে যে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের হাতে বৈষম্য এবং হয়রানীর শিকার।

আইএস দাবী করে তারা ২০১৮ সালের জুলাই মাসে জালালাবাদ শহরে শিখ এবং হিন্দুদের সমাবেশে বোমা হামলা চালিয়ে ১৯ জনকে হত্যা এবং ২০ জনকে আহত করে। আওতার সিং খালসা, আফগানিস্তানের সবচেয়ে পরিচিত শিখ রাজনীতিকদের অন্যতম, সেই হামলায় মারা গিয়েছিলেন।

ঢাকা টাইমস/২৬মার্চ/একে