করোনায় লক্ষ্মী যখন শত্রু
প্রবাসীরা যখন দেশে আসেন তখন অনেকের আনন্দ হয়। বিশেষ করে পরিবার পরিজনদের। বাইরে কেনাকাটা, ঘোরাফেরা, খাওয়াদাওয়া। শপিং মল বা বিভিন্ন দোকানে গেলেই অতিরিক্ত আপ্যায়ন করা করা হয় তাদের। কিন্তু করোনারভাইরাসের ভয়াবহতায় বিদেশিদের অবজ্ঞা ও গাছাড়া আচরণের জন্য সবাই তাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন।
দেশে মূলত প্রাবাসীদের মাধ্যমেই করোনা ভাইরাসের প্রথম বিস্তার ঘটে। প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলার পরেও অনেকেই বাইরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। এমনকি বিয়ে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়েছেন। এথেকে করোনা ভাইরাসের জীবাণু ছড়ানোর প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
প্রবাসীদের অনেক অনুরোধ ও বোঝানো সত্বেও তারা হোম কোয়ারেন্টিন মানছেন না। এজন্য তাদের থেকে দূরে থাকায় শ্রেয়। এজন্য অনেক জায়গায় দোকানের সামনে ‘প্রবাসীদের প্রবেশ নিষেধ’ লেখা ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এনিয়ে অনেক প্রবাসী যারা দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তারা বাস্তবতা মেনে নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সৌদি প্রবাসী আবু আব্দুর রহমান লিখেছেন- ‘ মহান আল্লাহর রহমতে যদি বেচে থাকি। তবে একদিন এই সুবিধাবাদী স্বার্থপর অমানুষগুলোকে ক্ষমা করে দেব। প্রমান করে দেবো আমরা প্রবাসীরাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক । প্রবাসীদের তোমরা যতই অপমান করো তবুও তারা দেশের জন্য ছিলো ,আছে এবং থাকবে।'
প্রবাসীরা একটু সচেতন হলে এই পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি হত না। এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, হোম কোয়ারেন্টিন মানা হলে এমনভাবে লেখা হত না।
প্রবাসীদের মাধ্যমে প্রথমত তাদের পরিবারের লোকজনই আক্রান্ত হচ্ছে। এরপর পাড়াপ্রতিবেশি ও আশপাশের মানুষ। সুতরাং নিজের সুরক্ষা, পরিবারের সুরক্ষা সর্বপরি দেশের সব মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে প্রবাসী যারা দেশে ফিরেছেন তাদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত হোমা কোয়ারেন্টিন মেনে চলতেই হবে।
আসুন সবাই এই মহামারীর সময়ে ঘরে থাকি। নিরাপদ থাকি। বারবার ভালোভাবে হাত ধুয়ে ফেলি। বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করি। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করি।
ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/এসকেএস