জামালপুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখা যায়নি

প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০২০, ১৬:১৯

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশের ন্যায় জামালপুরেও মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে কোনো আনুষ্ঠানিকতা চোখে পড়েনি। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জামালপুর সার্কিট হাউজে ছোট্ট পরিসরে দিবসটি পালন করা হলেও শহরের দোকানপাট ও বিভিন্ন ব্যক্তি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখা যায়নি।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসন ২৪ মার্চ গণ-আদেশ জারি করায় সব দোকানপাট মার্কেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তথ্য অফিস থেকেও জাতীয় পতাকার বিষয়ে কোনরূপ প্রচারণা চালানো হয়নি বলেও নিশ্চিত করেন তথ্য অফিস কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জেলা প্রশাসকের গণ-আদেশ জারি হওয়ায় ২৪ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে গেছে জামালপুর জেলার সকল মার্কেট, বিপণিবিতান, দোকানপাট। একই সাথে বৃহস্পতিবার থেকে টানা ১০ দিনের সরকারি সাধারণ ছুটির পাশাপাশি গণপরিবহনের সকল প্রকার মোটরযান বন্ধ থাকায় কার্যত লকডাউন পরিস্থিতি বিরাজ করছে গোটা জেলায়।

বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের সকালে শহরের প্রধান সড়কের দুই পাশে এবং শহরের অলিগলিতে ঘুরে দেখা গেছে, দোকানপাট, অভিজাত বিপনিবিতান, ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বহুতল ভবনের দুয়েকটা ছাড়া শতকরা ৯৯ ভাগ স্থানেই জাতীয় পতাকা টাঙানো বা উড়ানো হয়নি।

তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, এসপি অফিস, থানা, ইউএনও অফিস, আদালত, তথ্য অফিসসহ সরকারি অফিসগুলোতে জাতীয় পতাকা উড়াতে দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগের দিন জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে সারা জেলায় স্বাধীনতা দিবসের সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচি মাইকযোগে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। ওই প্রচারণায় জাতীয় পতাকার মাপসহ পতাকা উড়ানোর নিয়ম-কানুন জানানো হয়। জাতীয় পতাকা অবমাননার আইন প্রচার করেও জনসাধারণকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু এবার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার স্বাধীনতা দিবসের সকল আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করেছে।

বুধবার জেলা তথ্য অফিস থেকে শুধুমাত্র সকল আনুষ্ঠানিকতা স্থগিতাদেশ প্রচার করা হয়েছে। সেই প্রচারণায় জাতীয় পতাকা উড়ানোর বিষয়ে কোনো নির্দেশনা প্রচার করা হয়নি। শহরজুড়ে জাতীয় পতাকা চোখে না পড়ায় বিষয়টি নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে।

জামালপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা তথ্য অফিসার নুরুন নবী খন্দকার বলেন, শুধুমাত্র স্বাধীনতা দিবসের সকল আনুষ্ঠানিকতা স্থগিতাদেশ বিষয়েই প্রচার করা হয়েছে। সেই প্রচারণায় জাতীয় পতাকা বিষয়ে কোনো নির্দেশনা প্রচার করা হয়নি। তবে প্রচার করা দরকার ছিল।

তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় শহরের সকল দোকানপাট, মার্কেট দুদিন আগে থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে। সবাই বাড়িতে অবস্থান করছেন। এ কারণেই হয়তো তারা জাতীয় পতাকা উড়ায়নি।

(ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/এলএ)