নোয়াখালীতে করোনা আতঙ্কে হাসপাতাল ছাড়ছেন রোগীরা

এম.আর রিয়াদ, নোয়াখালী
 | প্রকাশিত : ২৬ মার্চ ২০২০, ১৬:৩২

করোনাভাইরাস আতঙ্কে নোয়াখালীর জেনারেল হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক কমে গেছে। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৬-৭’শ রোগী চিকিৎসাধীন থাকত, সেখানে বর্তমানে রোগী ভর্তি প্রায় ৩০০ জন। আর জেলার নয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০-১২ জন করে রোগী ভর্তি আছে। প্রাইভেট হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতেও চোখে পড়ার মতো তেমন রোগী নেই।

হাসপাতালের চিকিৎসক ও সেবিকাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনাভাইরাস আতঙ্কে রোগীরা হাসপাতালে থাকতে অনিহা প্রকাশ করছেন। অনেকে সুস্থ না হয়েও চিকিৎসকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। যেসব রোগী বেশি অসুস্থ, যাদের অক্সিজেন প্রয়োজন- শুধু তারাই হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে হাসপাতালগুলোতে দিন দিন রোগীর সংখ্যা কমছে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের শয্যা খালি পড়ে আছে।

জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, জেনারেল হাসপাতালে আগে যেখানে গড়ে ৬-৭’শ রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা সেবা নিতেন- সেখানে বুধবার দুপুর পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৩০০ জন। রোগী কমার কারণ একটাই, করোনা আতঙ্ক। এছাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক ও সেবিকাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) না থাকায় চিকিৎসক ও সেবিকাদের মধ্যে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজিম উদ্দিন বলেন, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় প্রায় সাত লাখ লোকের জন্য এ সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। এ হাসপাতালে আগে গড়ে প্রতিদিন ৭০-৮০ জন রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা সেবা নিত। কিন্তু রোগীদের মাঝে করোনাভাইরাস আতঙ্ক থাকায় বুধবার পর্যন্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ২৫ জন।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি থাকা কয়েকজন রোগীর সাথে কথা বলে তারা বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে রোগী ও তাদের স্বজনদের মুখে করোনাভাইরাস সম্পর্কে জানাতে পেরেছেন। এই রোগ নাকি একজনের কাছ থেকে আরেকজনের কাছে ছড়িয়ে পড়ে বলে শুনেছেন। এরপর থেকে তাদের মধ্যে করোনাভাইরাস আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, করোনা আতঙ্কের কারণে হাসপাতালের বেডগুলো রোগী শূন্য হয়ে পড়েছে। ভয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হতে চাচ্ছেন না। এছাড়াও আউট ডোরে (বহির্বিভাগে) ও রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কমে গেছে।

এদিকে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোরও একই চিত্র। পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট, পর্যাপ্ত হ্যান্ডগ্লাভস, মাস্ক, কেপ, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ না থাকায় করোনা আতংকে রয়েছেন চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দায়িত্বরতরা। চিকিৎসায় অনিহা প্রকাশ করছেন তারা। আর এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা। বেশিরভাগ চিকিৎসকের কক্ষে তালা ঝুলছে। নার্সরাও বিনা অজুহাতে ছুটি নিয়ে নিরাপত্তার অভাবে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

গাইবান্ধায় জমি নিয়ে বিরোধে লাঠির আঘাতে একজনের মৃত্যু

৫০০ কোটি টাকা হাতানোর চেষ্টা প্রতারক চক্রের, এনএসআই ও পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার ৯

বিল বকেয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অবৈধ বিদ্যুতে চলছে ইউপি কার্যালয়

কেজি দরে অপরিপক্ব তরমুজ, পিস চাইলে দাম আকাশ ছোঁয়া

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতার চোখ উপড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

ফেনী সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের গণইফতারে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০

মধ্যরাতে ফের মিয়ানমারের গুলির শব্দে কেঁপে উঠল টেকনাফ সীমান্ত

উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক, দুর্ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি

বরগুনা প্রেসক্লাবের নামে ভুয়া কমিটি গঠনের অভিযোগ 

ঝিনাইদহে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, ৩ প্রতিষ্ঠানে জরিমানা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :