করোনার প্রভাবে পেঁয়াজের দাম কমেছে রাজবাড়ীতে

প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০২০, ১৬:৩৫ | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২০, ১৭:০৬

রাজবাড়ী প্রতিনিদি, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাসের প্রভাবে রাজবাড়ীতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে বাড়েনি পেঁয়াজের দাম। এতে হতাশ রাজবাড়ীর কৃষকরা। কৃষকরা বলছেন, এখন মৌসুমের সময় তারা যদি পেঁয়াজের দাম না পান তাহলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। পেঁয়াজের দাম এখনই পাওয়া উচিত। পরে পেঁয়াজের দাম বাড়লে আড়তদাররা লাভবান হবেন। এতে কৃষকদের কোনো লাভ হবে না। তাই তারা সরকারের কাছে এখনই পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে কমপক্ষে মণপ্রতি দুই হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে আড়তদাররা বলছেন, গণপরিবহন বন্ধ করায় কিছুটা প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজের বাজারে। যদিও কাঁচামালবাহী পণ্য ট্রাক চলাচলে কোনো বাধা নেই।  তারপরও দূর থেকে কোনো মহাজন আসতে চাচ্ছেন না। পথে বিভিন্ন হয়রানি ও করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয় বালিয়াকান্দি উপজেলায়। কৃষি বিভাগের সূত্রে এবার সেখানে দশ হাজার হেক্টর জমিতে পিঁয়াজের চাষ হয়েছে। এর সত্তর ভাগ পেঁয়াজ ইতিমধ্যে ওঠে গেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বালিয়াকান্দি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে অস্থায়ী পেঁয়াজের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকেই কৃষকরা পেঁয়াজ নিয়ে এসেছেন বিক্রি করতে। প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ উঠেছে বাজারে। কিন্তু আশানুরূপ দাম পাচ্ছেন না।

বর্তমানে পাইকারি প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৩০-৩২ টাকা। যা দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকা। আর বাজারে রসুন বিক্রি হচ্ছে পাইকারি প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকা দরে। রসুনের দাম নিয়ে কৃষকের কোনো অভিযোগ নেই।

বনগ্রাম থেকে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা আব্দুস সালাম নামে এক কৃষক জানান, প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। এই দামে পেঁয়াজ বিক্রি করলে কোনো লাভ থাকবে না। কেজি প্রতি কমপক্ষে ৫০ টাকা হলে ভালো হতো।

পেঁয়াজের আড়তদার হারুন অর রশিদ মানিক জানান, কৃষকরা চাচ্ছেন পেঁয়াজ কমপক্ষে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হোক। কারণ পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকের যে পরিশ্রম আর খরচ হয় সেই টাকা ঘরে তুলতে তাদের অনেক কষ্ট হয়। তবে সরকার যদি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করে তাহলে দাম বাড়বে। সেক্ষেত্রে কৃষক কিছুটা লাভবান হবেন।

(ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/কেএম)